ইভটিজিং রুখতে পুলিশের বিশেষ বাহিনী গঠন!

প্রথমেই যোগীর চক্ষুশূলে রোমিওরা! তিনি যে উত্তরপ্রদেশের কঠোর মুখ্যমন্ত্রী হবেন, বার্তা দিতে শুরু করেছেন যোগী আদিত্যনাথ। প্রথম দিনেই নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি মতো ইভটিজিং রুখতে বিশেষ বাহিনী গঠনের কথা ঘোষণা করেছেন।

তাছাড়া সরকারি অফিসে যাতে প্লাস্টিক, পান মশলা বা গুটখা খাওয়া না হয় তার নির্দেশও দিয়েছেন যোগী। এগুলোর জন্য অবশ্যই সুনাম কুড়োবেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে কসাইখানার বিরোধিতা নিয়ে তার বাড়াবাড়ি অবশ্যই নতুন করে বিতর্কের জন্ম দেবে।

ভোটের আগে বিজেপির প্রতিশ্রুতি ছিল, ক্ষমতায় এলে ইভটিজিং রুখতে বিশেষ বাহিনী গঠন করা হবে। কথামতো ‘‌অ্যান্টি রোমিও স্কোয়াড’‌ গঠনের কাজ শুরু করার জন্য উত্তরপ্রদেশের পুলিশকে নির্দেশ দিল আদিত্যনাথের সরকার।

লখনউয়ের আশপাশে ১১টি জেলায় গঠিত হবে এই বিশেষ বাহিনী।

সংশ্লিষ্ট এলাকার সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, রেল স্টেশন এবং বাস স্টপ, শপিং মলের মতো এলাকায় উত্যক্তের হাত থেকে মহিলাদের বাঁচাতে কাজ করবে তারা। লখনউয়ের ইনস্পেক্টর জেনারেল সতীশ গণেশ বলেছেন, ‘‌ইভটিজিং সংক্রান্ত আইন আরও কঠোর করার প্রস্তাবও রাখা হয়েছে। গুণ্ডাদমন আইনের আওতায় এই ধরনের ঘটনাকে আনা যায় কি না, তা নিয়েও আলোচনা চলছে।’

এদিকে, বুধবার থেকেই উত্তরপ্রদেশে সরকারি অফিসে প্লাস্টিক, পান মশলা, গুটখা নিষিদ্ধ হয়ে গেল। এই নিয়ে রাজ্যের উপ মুখ্যমন্ত্রী কেশব প্রসাদ মৌর্য বলেছেন, ‘‌মুখ্যমন্ত্রী সরকারি অফিসগুলো পরিদর্শনের পর পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার ওপর জোর দিয়েছেন। এই পরিবর্তন যাতে নজরে পড়ে তা দেখতে হবে।’‌ আসলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘‌স্বচ্ছ ভারত’‌ প্রকল্পে অনুপ্রাণিত যোগী আদিত্যনাথও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার ওপর নজর দেন।

বুধবারই যোগী আদিত্যনাথ পুলিশকে বেআইনি কষাইখানা বন্ধ করতে রূপরেখা তৈরি রাখতে বলেছেন। আর গরুর চোরাপাচার রুখতে কঠোর হতে বলেছেন। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরই কষাইখানার বিরুদ্ধে মতামত প্রকাশ করেন। এরপরই অত্যুৎসাহী বিজেপি সমর্থকরা বিভিন্ন মাংসের দোকান এবং কসাইখানায় হামলা চালায়।

গাজিয়াবাদ, এলাহাবাদ থেকে হামলার খবর আসতে থাকে। এই অবস্থায় পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে বলে পরিস্থিতিতে লাগাম টানতে চাইছেন আদিত্যনাথ। পাশাপাশি তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে কেবল বেআইনি কসাইখানার বিরুদ্ধেই অভিযান চালাবে সরকার।



মন্তব্য চালু নেই