ইন্টারভিউতে মাত্র ৯০ সেকেন্ডে যেভাবে নিশ্চিত করবেন আপনার সাফল্য

কোনও চাকরির ইন্টারভিউয়ের সময় ঠিক কীভাবে নিশ্চিত করা যায় সাফল্য? ‘কোম রেকমেন্ডে়ড’ নামে একটি সমীক্ষা সংস্থা সম্প্রতি একটি সমীক্ষার সূত্রে জানিয়েছে যে, প্রায় ৩৩ শতাংশ ইন্টারভিউ-এর ক্ষেত্রে কোনও প্রার্থীর ইন্টারভিউ শুরু করার ৯০ সেকেন্ডের মধ্যে কর্তৃপক্ষ স্থির করে ফেলেন যে, চাকরিপ্রার্থীকে চাকরিতে নেওয়া হবে কি হবে না। কাজেই প্রথম ৯০ সেকেন্ডই যে কোনও ইন্টারভিউতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কীভাবে এই প্রথম দেড় মিনিটেই জয় করে নেবেন ইন্টারভিউ গ্রহণকারীদের মন? রইল ইন্টারভিউ কোচ ব্যারি ডেক্সলার নির্দেশিত পাঁচটি সহজ করণীয়ের তালিকা—

১. বেশি সাজগোজ করবেন না: পোশাকে আশাকে আপনার শিক্ষা এবং বিনয়ের ছাপ যেন প্রতিফলিত হয়। মনে রাখবেন, আপনি ইন্টারভিউ দিতে যাচ্ছেন, বিয়ে বাড়িতে নয়। পরিচ্ছন্ন এবং ‘অফিসিয়াল’ পোশাকে ইন্টারভিউ দিতে যান।
২. একদম ঠিক সময়ে পৌঁছন: যে সময়ে ইন্টারভিউতে আপনাকে যেতে বলা হবে, ঠিক সেই সময়ে পৌছন। দেরি করে গেলে আপনার সম্পর্কে খারাপ ধারণা তৈরি হবে নিয়োগকারীদের। খুব বেশি আগে পৌঁছনোটাও বুদ্ধিমানের কাজ নয়। আগে পৌঁছলে কোথাও একটু অপেক্ষা করে নির্দিষ্ট সময়ে অফিসে প্রবেশ করুন।

৩. সকলের সঙ্গে বিনীত ব্যবহার করুন: ইন্টারভিউয়ের জন্য নির্দিষ্ট অফিসে পৌঁছনোর পর থেকে প্রত্যেকের সঙ্গে বিনীত ব্যবহার করুন। চেয়ারে বসার আগেও অনুমতি নিয়ে নিন ইন্টারভিউ বোর্ডের।

৪. সঙ্গে কিছু প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র রাখুন: একটা ভাল পেন রাখুন বুক পকেটে। খেয়াল রাখুন, পেনটিতে আবার যেন কোনও কোম্পানির লোগো না লাগানো থাকে। হাতে রাখুন কোনও সুদৃশ্য ফোল্ডার। কাঁধে রাখুন কোনও অফিসিয়াল লুকিং ব্যাগ।

৫. নিজের হাবভাব সম্পর্কে সচেতন থাকুন: আপনার বডি ল্যাঙ্গুয়েজ সম্পর্কে অবহিত হোন। চেয়ারের বসে নড়াচড়া করা, কিংবা এদিক-ওদিক তাকানো ইত্যাদি বিষয়গুলো সাক্ষাৎকারীদের বিরক্ত করে। সহজ স্বাভাবিক মুখভঙ্গি রাখুন। মুখে লেগে থাক মৃদু হাসি। সাক্ষাৎকার গ্রহণকারীদের চোখে চোখ রেখে কথা বলুন। তাঁরা ইমপ্রেজড হবেনই। -এবেলা



মন্তব্য চালু নেই