ইউরোপে সিরীয় শরণার্থীদের ভিড়ে রয়েছে বাংলাদেশিও
ইউরোপে অভিবাসন প্রত্যাশায় যুদ্ধপীড়িত সিরীয়দের যে ঢল রয়েছে, তার মধ্যে বাংলাদেশিও রয়েছেন বলে খবর পেয়েছে অষ্ট্রিয়ার বাংলাদেশ দূতাবাস।
ইউরোপের দেশটিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবু জাফর রোববার এই তথ্য জানিয়েছেন। তবে বাংলাদেশির সংখ্যা কত, তা স্পষ্ট করেননি তিনি।
যুদ্ধের কারণে সিরিয়ার নাগরিকসহ মধ্যপ্রাচ্যের হাজার হাজার মানুষ বিভিন্নভাবে ইউরোপে পাড়ি দিতে চাইছেন।
প্রথমে আটকে রাখলেও সাগরে ডুবে আইলান কুরদি নামে তিন বছরের একটি শিশুর মৃত্যু নিয়ে বিশ্বব্যাপী তোলপাড় উঠলে সীমান্ত খুলে দেয় ইউরোপ।
হাঙ্গেরিতে আটকে পড়া কয়েক হাজার শরণার্থী শনিবার হাঙ্গেরি সীমান্ত দিয়ে অস্ট্রিয়ায় ঢুকেছে, যাদের গন্তব্য জার্মানি। এই দেশটি ইতোমধ্যে আট লাখ শরণার্থীকে আশ্রয় দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
এর মধ্যেই হাঙ্গেরি থেকে আসা কয়েক হাজারের মধ্যে বাংলাদেশি পাওয়ার খবর ভিয়েনার বাংলাদেশ দূতাবাসকে জানান অস্ট্রিয়ার কর্মকর্তারা।
রাষ্ট্রদূত জাফর বলেন, “অস্ট্রিয়ানদের মধ্যে যারা দোভাষি হিসেবে বিভিন্ন শরণার্থী ক্যাম্পে কাজ করছে, তারা বাংলাদেশি পাওয়ার খবর আমাদের জানিয়েছে।”
“তবে আন্তর্জাতিক রীতি অনুযায়ী, আশ্রয় প্রত্যাশী আমাদের দেশের কারও বিষয়ে আমরা সংশ্লিষ্ট দেশের সঙ্গে আলোচনা করতে পারি না,” বলেন রাষ্ট্রদূত।
তিনি সেই সঙ্গে বলেন, “এটা নতুন নয়। গত আট-নয় মাস ধরে আমরা আনঅফিসিয়ালি জানছি, প্রতি মাসে ১৫ থেকে ২০ জন বাংলাদেশি আশ্রয় চাচ্ছে অস্ট্রিয়ায়।”
অস্ট্রিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাস গত বছর কাজ শুরু করেছে। আবু জাফর দেশটিতে বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রদূত।
অস্ট্রিয়ান দোভাষিদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আবু জাফর বলেছেন, বাংলাদেশিরা আসছে প্রধানত তুরস্ক ও লিবিয়া থেকে।
লিবিয়ায় যে সব বাংলাদেশি রয়েছেন, তাদের অনেকে ইউরোপে পাড়ি দিতে চাইছেন। এর মধ্যে গত মাসে ভূমধ্য সাগরে একটি নৌকা ডুবে মারা যান ২৪ বাংলাদেশি।
রাষ্ট্রদূত বলেন, “কিছু কিছু আবার বাংলাদেশ থেকে পাকিস্তান, আফগানিস্তান, ইরান, তুরস্ক হয়েও আসছে।”
আন্তর্জাতিক রীতি অনুযায়ী এক্ষেত্রে করার কিছু না থাকলেও পরিস্থিতির উপর চোখ রাখা হচ্ছে বলে জানান রাষ্ট্রদূত।
মন্তব্য চালু নেই