আ.লীগ-বিএনপির হাত থেকে মানুষ মুক্তি চায়

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেছেন, ‘মানুষ আওয়ামী লীগ-বিএনপি এ দুই দলের হাত থেকে চিরদিনের জন্য ‍মুক্তি চায়। লুটপাট, চাঁদাবাজী ও টেন্ডারবাজী থেকে মুক্তি পেতে চায়। তারা বিদ্যুৎ ও গ্যসের দাম বৃদ্ধির দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পেতে চায়। আর এটাই আমাদের সুযোগ। এ সুযোগ হারানো যাবে না।’

শনিবার বিকেলে রাজধানীর কাকরাইলে জাতীয় পার্টি আয়োজিত সংবিধান সংরক্ষণ দিবস উপলক্ষে এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘যেখানেই যাচ্ছি মানুষ বলছে তারা পরির্ব্তন চায়, তারা শুনতে চায় জাতীয় পার্টি কী করবে? তাদের ভবিষ্যৎ করণীয় কী? তারা জাপাকে ক্ষমতায় দেখতে চায়।’

সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে এরশাদ বলেন, ‘আপনারা এগিয়ে আসুন, আমাদের রক্ষা করুন। গণতন্ত্রকে রক্ষা করুন। দেশবাসীকে রক্ষা করুন। আমরা জেগে উঠেছি আপনারাও জেগে উঠেন।’

বিদেশের কাছ থেকে দুইশ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে বিএনপি দেশকে বিক্রি করে দিয়েছিল দাবি করে তিনি বলেন, ‘যখন ক্ষমতায় ছিলেন তখন দেশকে বিক্রি করেছিলেন, কার কাছে দেশ বিক্রি করেছিলেন, কত টাকায় বিক্রি করেছিলেন ক্ষমতায় গেলে হিসেব নেব। ঘরে বসে যতই ষড়যন্ত্র করেন কোনো লাভ হবে না। মানুষ আপনাদের প্রত্যাখান করেছে, ঘৃণা করছে। মানুষ এখন চায় জাতীয় পার্টি। তারা চায় শান্তি।’

সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম কেন বাড়াতে চান? তা জানতে চাই। আজ সুইচ ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা পাচার করা হয়েছে। তারা কারা? আমরা তাদের নাম জানতে চাই। যেসব টাকা বিদেশে পাচার করা হয়েছে সেই টাকা ফিরিয়ে আনুন।’

এরশাদ বলেন, ‘জাতীয় পার্টি ক্ষমতা ছেড়ে দেয়ার পরই দেশে প্রতিহিংসার রাজনীতি চলে এসেছে, টেন্ডারবাজী, দলীয় সন্ত্রাস, ছাত্রহত্যা, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হত্যা শুরু হয়েছে তা এখনও চলছে।’

১৯৯১ সালে এরশাদ ও জাতীয় পার্টির ভয়ে বিএনপি দ্বাদশ সংশোধনী করেছিল দাবি করে সাবেক এ রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘বিএনপি তখন এই এরশাদের ভয়ে দ্বাদশ সংশোধনী করেছিল।’

ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সভাপতি সৈয়দ আবু হোসেন বাবলার সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যান্যে মধ্যে বক্তব্য দেন জাপার মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও পানি সম্পদমন্ত্রী আনিছুল ইসলাম মাহমুদ, সাহিদার রহমান টেপা, মহানগরী উত্তরের সভাপতি এসএম ফয়শাল চিশতী, মহিলা সাংসদ রওশন আরা মান্নান প্রমুখ।



মন্তব্য চালু নেই