আ.লীগে ফার্মের মুরগি ঢুকেছে : ওবায়দুল কাদের

দলে অবাঞ্ছিতদের অনুপ্রবেশ বোঝাতে কাউয়ার পর এবার দেশি ও ফার্মের মুরগির উপমা ব্যবহার করলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি দলের পুরনো নেতা-কর্মীদেরকে দেশি মুরগি এবং স্বার্থের কারণে দলে আসা নেতা-কর্মীদেরকে ফার্মের মুরগি বলছেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, এই ফার্মের মুরগির কারণে দেশি মুরগিরা কোণঠাসা হয়ে পড়েছে।

১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল স্বাধীন বাংলাদেশের প্রবাসী সরকারের শপথগ্রহণের স্মরণে মেহেরপুরের মুজিবনগরে এক সমাবেশে এই কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি, তাজউদ্দীন আহমেদকে প্রধানমন্ত্রী করে মুজিবনগরের যে আমবাগানে প্রবাসী বাংলাদেশ সরকার শপথ নিয়েছিল সেখানেই অনুষ্ঠান করে ক্ষমতাসীন দল।

আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশকারীদের কতা বলতে গিয়ে ওবায়দুল কাদের তার বহুল আলোচিত উপমা কাউয়ার প্রসঙ্গও তোলেন। তিনি বলেন, ‘সিলেটে বলেছিলাম, কাউয়া, এখানে আর কাউয়া বলবো না। কিন্তু এখানেও মনে হয় ফার্মের মুরগি ঢুকে গেছে। দেশি মুরগি দরকার, ফার্মের মুরগি দরকার নাই। এটা স্বাস্থ্যকর নয়।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দেশি মুরগি কোণঠাসা হয়ে যাচ্ছে, ফার্মের মুরগি ঢুকতেছে। একটু খেয়াল রাইখেন।’

এরপর জনসভায় উপস্থিত কর্মীদেরকে ‍উদ্দেশ্য করে মঞ্চে উপস্থিত নেতাদেরকে দেখিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘

ওখানে কোনো সমস্যা সেই, এইখানে সমস্যা। এই যে দেখেন, পুরা মঞ্চে নেতা, তো আর নেতা, বিলবোর্ডে দেখি আতি নেতা, পাতি নেতা, ছোট নেতা, বুড়া নেতা, সিকি নেতা, আধুলি নেতা, নেতার আর অভাব নাই।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বাইরে দেখি এক চেহারা, বিলবোর্ডে দেখি আরেক চেহারা। নেত্রী বানিয়েছেন ডিজিটাল বাংলাদেশ, আর একেকজনের একেক চেহারা হয়েছে। বাইরে দেখি এক আর বিলবোর্ডে দেখি আরেক চেহারা। এই অবস্থা হয়ে গেছে।’ তিনি বলেন, ‘শান্তিতে থাকুক, তবে আওয়ামী লীগের নাম দিয়ে অপকর্ম করলে বিলবোর্ডের নাম দিয়ে, এটা কিন্তু সহ্য করা হবে না। এই সব চলবে না্। আওয়ামী লীগের নামে অপকর্ম চলবে না।’

বিএনপি ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর সরকার দিবস পালন না করায় তাদের সমালোচনাও করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, তিনি বলেন, ‘মুজিবনগরে যে সরকার শপথ নিয়েছিল বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে সরকার প্রধান করে সেদিন যে সরকার গঠিত হয়েছিল সেই সরকারের অধীনে যারা বেতনভুক্ত ভোগ করতো, সেক্টর কমান্ডার ছিল, তাদের দল আজ ১৭ এপ্রিল পালন করে না।

১৭ এপ্রিল যারা পালন করে না, তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করে কি না আমার সন্দেহ। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা যারা লালন করে, ১৭ এপ্রিলের প্রথম সরকার গঠনের চেতনাকেও লালন করতে হবে। যারা করে না, তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকেই প্রকারান্তরে অস্বীকার করে।’



মন্তব্য চালু নেই