সন্দ্বীপ দিয়ে চট্টগ্রাম অতিক্রম করছে কোমেন
আশ্রয়কেন্দ্রে তিল ঠাঁই নেই
উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় কোমেন উত্তর দিকে সরে গিয়ে বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে কিছুটা দুর্বল হয়ে সন্দ্বীপের কাছ দিয়ে চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম শুরু করেছে। ঘূর্ণিঝড়টি উপকূল অতিক্রম করার পর আরও পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে বৃষ্টি ঝরিয়ে ক্রমান্বয়ে দুর্বল হয়ে যেতে পারে বলে আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় কোমেনের আঘাত থেকে বাঁচতে উপকূলীয় জেলাগুলোর নিম্নাঞ্চলের প্রায় ২০ লোক আশ্রয় নিচ্ছেন বিভিন্ন সাইক্লোন সেন্টারে। আবার কোথাও কোথাও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও আশ্রয় নিচ্ছেন তারা। এক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসন তাদের সহযোগিতা করছেন।পুরো উপকুল জুড়ে এর প্রভাবে ভারী বৃষ্টি হচ্ছে।
তবে এসব আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে পর্যাপ্ত জায়গা সংকট দেখা দিয়েছে। ধারণ ক্ষমতার বাইরেও হাজার মানুষ আশ্রয় নিচ্ছে এসব কেন্দ্রে। দেখা দিয়েছে খাবার এবং টয়লেট সংকট।
ঘূর্ণিঝড় ‘কোমেনের’ প্রভাবে কক্সবাজারের সেন্টমার্টিন ও টেকনাফে দমকা হাওয়াসহ ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাচ্ছে। প্রবল ঝড়ো হাওয়ায় প্রবালদ্বীপ সেন্টমাটিনে কয়েকশ বসতবাড়ি ভেঙে গেছে। গাছপালার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। দ্বীপের পশ্চিমপাড়ায় গাছচাপায় মো. ইসলাম (৫০) নামের এক ব্যক্তি মারা গেছেন। ডুবে গেছে বেশকিছু মাছ ধরার নৌকা। কক্সবাজারেও দুই জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, স্থানীয় প্রশাসন জেলার ৯৬টি আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় ৬০ হাজার লোককে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে গেছে। এ ছাড়া জেলার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা করে আশ্রয়কেন্দ্রের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে।
সকাল থেকে সাগরে জোয়ারের পানি বাড়তে শুরু করেছে। এরই মধ্যে নিচু এলাকায় পানি ঢুকে পড়েছে। সাগরের জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে তিন-চার ফুট উঁচু হয়েছে।
এ দিকে টানা বর্ষণ ও সাগরের জোয়ারের পানিতে কক্সবাজারের নিম্নাঞ্চল এক সপ্তাহ ধরে পানিতে তলিয়ে থাকায় বন্যা কবলিতদের দুর্ভোগ আরো বেড়েছে।
পূর্ণিমার তিথির কারণে জোয়ারের পানি বেড়ে মহেশখালী, কুতুবদিয়া, পেকুয়া, টেকনাফ ও সদর উপজেলার উপকূলের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
জেলা প্রশাসন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করেছে। দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রশাসন ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে।
মন্তব্য চালু নেই