আশুলিয়া থানার নারী পুলিশের আত্মহত্যার ঘটনায় জিয়া নামের ১ কনস্টেবল গ্রেপ্তার
টিপু সুলতান (রবিন), স্টাফ করেসপন্ডেন্ট : সাভারে আশুলিয়া থানার নারী কনস্টেবল সাবিনা ইয়াসমিনের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে তিনি আত্মহত্যা করেছেন।
তবে নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানিয়েছে ওই নারী কনস্টেবলের কক্ষ থেকে একটি চিরকুট পাওয়া গেছে। সাবিনা ইয়াসমিন মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর থানাধীন সাপানীয়া গ্রামের হজরত আলীর হজা মিয়ার মেয়ে।
তিনি গত ৫বছর আগে বাংলাদেশ পুলিশে যোগদান করেন। এবং তিনি গত ১ বছর ধরে আশুলিয়া থানায় কর্মরত ছিল।
বুধবার বিকালে আশুলিয়া থানার চত্তরের ১০০ গজ পশ্চিমে আহাদ আলীর ৫তলা ভবনে থাকা আশুলিয়া থানা পুলিশের ভাড়া করা ব্যারাক ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
এবিষয়ে আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আকবর আলী খান জানান, আশুলিয়া থানার লিমা নামের এক নারী কনস্টেবল দুপুরের খাবার খেতে থানার পিছনে থাকা কনস্টেবলদের ব্যরাকে যান। এসময় তিনি ওই ব্যারাকের ৫তলায় নিজ কক্ষে সাবিনা ইয়াসমিনকে ফ্যানের সাথে ফাস লাগিয়ে ঝুলে থাকতে দেখতে পান।
পরবর্তীতে ওই নারী কনস্টেবল বিষয়টি থানায় অবগত করলে পুলিশ ও আশুলিয়া সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বিকাশ চন্দ্র ঘটনাস্থল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে এবং ময়না তদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
এছাড়া পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও জানান, পুলিশ বিষয়টি অধিকতর গুরুত্বর সহকারে দেখছে। এছাড়া এটি আত্মহত্যা নাকি অন্য কোন ঘটনা তা তদন্ত ছাড়া বলা যাচ্ছে না বলেও জানান তিনি।
ওই নারীর কক্ষ থেকে চিরকুট পাওয়া পাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, এই বিষয়টি নিয়ে এই মুহূর্তে কিছু বলা সম্ভব হচ্ছে না। তবে সময় মতো বিস্তারিত জানানো হবে।
এঘটনায় আশুলিয়া থানার কনস্টেবল জিয়া কে বুধবার রাতে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।পরে মঙ্গলবার সকালে নারী কনস্টেবল সাবিনার ভাই আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ এনে একই থানার একই থানার কনস্টেবল জিয়ার নামে মামলা দায়ের করেছে।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশের এক কর্মকর্তা আওয়ার নিউজ কে জানায় ঘটনাটি প্রেমঘটিত,এবং সাবিনার ঘরথেকে যে চিরকুটটি পাওয়া যায় তাতে এক পুলিশের নাম অথবা সূত্রপাওয়া যায়।তিনি আরও বলেন এই চিরকুটের সুত্রধরেই পুলিশ কনস্টেবল জিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মন্তব্য চালু নেই