‘আলোচনার মাধ্যমে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত’

বিরোধী দলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ বলেছেন, ‘নির্বাচন ও বিএনপি-জামায়াতের জ্বালাও-পোড়াও ঘটনার মধ্যে সরকার থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। এখন সময় এসেছে। আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে।’

সামগ্রিকভাবে ঢাকা ও চট্টগ্রামে সিটি করপোরেশন নির্বাচন ভালো হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন রওশন এরশাদ। তিনি বলেছেন, ‘বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ঘটেছে ঠিকই, তবে কোনো খুনখারাবি হয়নি। বড় ধরনের কোনো গ-গোল হয়নি। জনসাধারণ ভোট দিতে পেরেছে। এদিক বিবেচনা করলে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে বলা চলে।’

তিনি আরো বলেন, ‘এই নির্বাচনে জাতীয় পার্টি এককভাবে অংশগ্রহণ করে গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাকে আরো এগিয়ে নিয়েছে। জাতীয় পার্টি এই নির্বাচনে কতগুলো ভোট পেয়েছে, সেটা মুখ্য নয়। দীর্ঘ ২৫ বছর পর সিটি নির্বাচনে জাতীয় পার্টি অংশ নিয়ে জনগণের দোরগোড়ায় গিয়েছে, ভোট পেয়েছে, মানুষের কাছে জাতীয় পার্টির গ্রহণযোগ্যতা বেড়েছে, এটাই বড় কথা।’

রোববার বিকেলে সংসদের মিডিয়া সেন্টারে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন রওশন এরশাদ।

তিনি বলেন, ‘যারা নির্বাচনে হেরে যায় তারা নানা অজুহাত তোলে। বিএনপি সে রকম অজুহাত তুলেছে। তারা বলেছে, নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি, ভোট কারচুপি হয়েছে, জালিয়াতি হয়েছে, এজেন্টদের বের করে দিয়েছে। এসব অজুহাতে নির্বাচন বর্জনও করেছে। এতে কোনো লাভ নেই।’

তিনি বলেন, ‘গণতান্ত্রিক দল হিসেবে নির্বাচনে বিএনপির প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা দরকার ছিল। তাদের বর্জন সত্ত্বেও প্রার্থী এবং তাদের সমর্থক ভোটাররা ভোট দিয়েছে। তাদের নেতাদের কথা শোনেনি।’

সালাউদ্দিন সম্পর্কে বেগম রওশন এরশাদ বলেছেন, ‘তাকে যেহেতু পাওয়া গেছে, এখন আইনগত প্রক্রিয়ায় সরকারের এগোনো উচিৎ। সালাউদ্দিনকে যেহেতু পাওয়া গেছে, সেহেতু বিএনপির অন্যান্য নেতারা কোথায় আছে তা ধীরে ধীরে হয়ত একদিন বের হবে। তখন বোঝা যাবে এটা বিএনপির রাজনৈতিক খেলা কি-না।’

রওশন এরশাদ দেশবাসীকে এই সময়ে সবরকম মৌসুমি ফল খাওয়ার আগে ফরমালিন আছে কি-না তা যাচাই করার আহ্বান জানান। তিনি দাবি করেন, তার উদ্যোগে সংসদে ফরমালিন বিরোধী বিল পাস হয়েছে। এখন সাংবাদিকরা একটু লেখালেখি করলে এই জীবনঘাতী বিষ থেকে দেশের মানুষ রেহাই পাবে। যারা খাদ্যদ্রব্যে ফরমালিন দেয়, তাদের যে শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে, তা কার্যকর করতে হবে।’

তিনি এ সময় দেশের অর্থনীতির অগ্রগতি এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতায় জাতীয় পার্টির ভূমিকার প্রশংসা করেন।



মন্তব্য চালু নেই