আ’লীগ নেতার শর্টগানের গুলিতে ওসিসহ আহত ৭

ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফর উল্লাহর পথসভায় শর্টগানের গুলিতে ওসিসহ সাতজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আহতদের ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে ওসি নাজমুল ইসলাম ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা শেষে তার কর্মস্থলে ফিরেছেন।

শনিবার সকালে কাওলীবেড়া ইউনিয়নের পড়ারন মুন্সী বাড়ি এলাকায় কাজী জাফর উল্লাহর এক পথসভায় এ ঘটনা ঘটে।

গুলিবিদ্ধরা হলেন- ভাঙ্গা থানার ওসি নাজমুল ইসলাম (৫৫), পড়ারন গামের ফরহাদ (৫৫), চনমানাইর গ্রামের ইমারত (৫৬), কররা গ্রামের সুবাহান (৬৫), আড়িয়াল খাঁ গ্রামের সাহেবালী (৪৭), পড়ারন গ্রামের জমির মাতুব্বার (৬০) ও খাটরা গ্রামের শাহজাহান (৫০)।

পুলিশের দাবি, পথসভা চলাকালে অসাবধানতাবশত: আওয়ামী লীগ নেতা দীপক মজুমদার দেহরক্ষীর ‘মিস ফায়ারে’ শর্টগানের গুলিতে ওসিসহ সাতজন গুলিবিদ্ধ হন।

পুলিশ জানায়, আহতদেরকে তাৎক্ষণিক ভাঙ্গা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে ছয়জনকে ফরিদপুর মেডিকেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। তবে ওসি নাজমুল ইসলাম ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা শেষে তার কর্মস্থলে ফিরেছেন।

ভাঙ্গা থানার অফিসার ইনর্চাজ মোঃ নাজমুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, শনিবার সকালে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফর উল্লাহর একটি পথসভায় চলছিল। তখন আমার বামদিকে বসা ছিলেন আওয়ালীগের সহ সভাপতি দীপক মজুমদার। তার দেহরক্ষীর অসাবধানতায় শর্টগানের গুলিতে আমিসহ (ওসি) সাতজন আহত হই।

তিনি জানান, আমি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বাসায় চলে আসি। বাকি আহতদেরকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ভাঙ্গা থানার উপপুলিশ পরিদর্শক জালাল জানান, আওয়ামী লীগ নেতা দীপুক মজুমদারের শর্ট গানটি লাইসেন্স করা ছিল।

আওয়ামী লীগ কর্মী বৃদ্ব নুরুল আমিন জানায়, হঠাৎ মনে হল কোথায় থেকে একটি বোমার মতো উপর থেইকা কি যেন ফুটলো। আমার পাশের লোকজন তখন মাটিতে পইড়া গেল। বৃদ্ধ জানান, সবাই আওয়ামীলীগের লোক।

এদিকে এ ঘটনায় ভাঙ্গাসহ ফরিদপুর জেলায় আলোচনার ঝড় উঠেছে।



মন্তব্য চালু নেই