আলিকে শেষ বিদায় জানালেন বাংলাদেশি বন্ধু
কিংবদন্তি মুষ্টিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলি গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের কেন্টাকির লুইভিল শহরে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন। সেখানে তার জানাজা ও দাফন অনুষ্ঠানে হাজির হন এক বাংলাদেশি। তারও নাম মোহাম্মদ আলি। যদিও দুজনের নাম একই, তবে ইংরেজি বানান যদিও একটু আলাদা। বন্ধুত্বের টানে ১০ হাজার মাইল পাড়ি দিয়েছেন তিনি।
দুই আলি একে অন্যকে ভালোবাসতেন গভীরভাবে। দুজন দুই প্রান্তে থাকলেও যোগাযোগ হতো প্রায়ই। মুষ্টিযোদ্ধা আলি সাত মাস আগে ফোন করেছিলেন বাংলাদেশের বন্ধু আলিকে। তাকে বলেছিলেন, ‘আলি আমি আসছি। তুমি বাংলাদেশে ফেলে আসা আমার যমজ ভাই।’
১৯৭০ এর দশকে দুজনের বন্ধুত্ব শুরু। সময়ের বিবর্তনে বন্ধুত্বে ছেদ হয়নি। মুষ্টিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলি যখন বাংলাদেশে এসেছিলেন, ছিলেন বাংলাদেশি বন্ধু মোহাম্মদ আলির বাড়িতেই। ঘুমিয়েছেন তার ছেলের বিছানায়। মোহাম্মদ আলিকে বাংলাদেশের অনারারি সিটিজেনশিপ দেয়া হয় এবং বাংলাদেশিরা তাকে গভীরভাবে ভালোবাসে।
বন্ধুর শেষকৃত্যে উপস্থিত বাংলাদেশি মোহাম্মদ আলি মার্কিন গণমাধ্যমকে জানান, মুষ্টিযোদ্ধা আলিই তাকে মানবতার সেবায় কাজ করতে উৎসাহিত করেছেন। বন্ধু বলতেন, ‘মানবতার জন্য কাজ করো। মানবতার মৃত্যু নেই।’
বাংলাদেশি মোহাম্মদ আলির হৃদযন্ত্রে অস্ত্রোপচারের কথা ছিল। সেটি বাতিল করে দেন এ ভয়ে, যদি আর না বাঁচেন। যদি বন্ধুকে শেষ বিদায় জানাতে না পারেন। প্রিয় বন্ধুকে শেষ বিদায় জানাতে ১০ হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশ থেকে কানাডায় ছুটে গেছেন বাংলাদেশের মোহাম্মদ আলি। সেখান থেকে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে চোখের জলে আর ভালোবাসায় বিদায় জানান প্রিয় বন্ধুকে।
মন্তব্য চালু নেই