জাতীয় পার্টির শান্তি সমাবেশে এরশাদ
আর কত লাশ চান?
জাতীয় সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ রাজপথের প্রধান বিরোধী দল বিএনপির উদ্দেশে বলেন, ‘আর কত লাশ চান? মানুষের জীবন কেড়ে নেবেন না। গুলি ফোটাবেন না। যুবকদের হাতে বোমা তুলে দেবেন না।’
শনিবার বিকেলে জাতীয় পার্টির কাকরাইল কার্যালয়ে আয়োজিত শান্তি সমাবেশ থেকে এ কথা বলেন এরশাদ। সারাদেশে জ্বালাও-পোড়াও, দমন-পীড়নের প্রতিবাদে এ সমাবেশের আয়োজন করে জাতীয় পার্টি।
এরশাদ বলেন, ‘একটি দল জনগণকে জিম্মি করে রাজনীতি করতে চায়। তাদের কারণে কল-কারখানা বন্ধ হচ্ছে। মানুষ অনাহারে আছে। সরকার মানুষের জানমালের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ। এজন্য সরকারকে একদিন জবাবদিহি করতে হবে।’
সাবেক এই রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘এ দুই দলের কেউই প্রতিহিংসার রাজনীতি পরিহার করতে পারবে না। তাদের পরিত্যাগ করুন। শান্তির জন্য পরিবর্তন আনতেই হবে, আনতেই হবে, আনতেই হবে।’
দেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের একে অপরকে প্রতিরোধের ঘোষণার মধ্যে ওই দুই দলেরই বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে মানুষকে রাস্তায় নেমে আসতে বলেন এরশাদ। দুই দলকে প্রত্যাখান করে নতুন রাজনীতি গড়ে তোলার কথাও বলেন তিনি।
এরশাদ বলেন, ‘ঘরে বসে থাকলে চলবে না। প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। রাস্তায় নামতে হবে।’
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও মধ্যবর্তী নির্বাচনের দাবিতে থাকা বিএনপির মধ্যে সংলাপেরও তাগিদ দেন তিনি।
শান্তি সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জাপা প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ আবুল হোসেন বাবলা। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু, এম এ হান্নান, এস এম ফয়সাল চিশতী, অনন্যা হোসেন মৌসুমী, রেজাউল ইসলাম ভুঁইয়া।
এরশাদ বলেন, যে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশে বর্তমানে এই রাজনৈতিক অস্থিরতা, বহু নাটকীয়তার পর ওই নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন এরশাদ। বর্তমানে তিনি এই সরকারের প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূতও।
সাবেক এই রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘এ দুই দলের কেউ-ই প্রতিহিংসার রাজনীতি পরিহার করতে পারবে না। তাদের পরিত্যাগ করুন। শান্তির জন্য পরিবর্তন আনতেই হবে, আনতেই হবে, আনতেই হবে।’
‘মানুষ আজ দুই দলের অপরাজনীতি থেকে মুক্তি চায়। আমরাও দুই দলের রাজনীতিমুক্ত দেশ চাই।’
২৪ বছর আগে শান্তির জন্য ক্ষমতা হস্তান্তর করেছিলেন দাবি করে এরশাদ প্রশ্ন রাখেন, এখন কী দেখছি?
জাতীয় সংসদের প্রধান বিরোধী দলের চেয়ারম্যান রাজপথের প্রধান বিরোধী দল বিএনপির উদ্দেশে বলেন, ‘আর কত লাশ চান? মানুষের জীবন কেড়ে নেবেন না। গুলি ফোটাবেন না। যুবকদের হাতে বোমা তুলে দেবেন না।’
মন্তব্য চালু নেই