আর কত রক্ত ঝরাতে হবে শিক্ষকদের !

মোঃ ওয়াহিদুল ইসলাম, জাককানইবি প্রতিনিধি : গত এক যুগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) চারজন মেধাবী শিক্ষক ও গবেষককে হারালো বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার। হারালো সংস্কৃতিমনা লেখকদের।

২০১৪ সালের ১৫ নভেম্বর বিকেলে খুন হন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এ কে এম শফিউল ইসলাম। ২০০৪ সালের ২৪ ডিসেম্বর ভোরে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস সংলগ্ন বিনোদপুর এলাকায় কুপিয়ে হত্যা করা হয় অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ ইউনুসকে। ২০০৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের আবাসিক এলাকা থেকে নিখোঁজ হন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক এস তাহের । এসব হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার শেষ না হতেই সর্বশেষ আবার ২৩ এপ্রিল ২০১৬ ইং তারিখে শালবাগানে চাপাতির আঘাতে পৃথিবী থেকে চলে গেলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ইংরেজি বিভাগের আরেক শিক্ষক অধ্যাপক এএফএম রেজাউল করিম সিদ্দিকী ।

অন্যায়ের সঙ্গে আপোসহীন এবং সংস্কৃতিমনা এই শিক্ষকের হত্যার তীব্র নিন্দা ও হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি একাংশের সভাপতি মোঃ রুহুল আমিন এবং সাধারণ সম্পাদক আলফারুন্নাহার রুমা সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষকগণ।

তারা বলেন, শিক্ষকরা হল মুক্তচিন্তার অধিকারী, মুক্তচিন্তার অবাধ বিচরণ বন্ধ করে দিতেই েই হত্যাকান্ড । আমরা এ হত্যাকান্ডের তীব্র নিন্দা এবং খুনীদের অতিদ্রুত চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই । ৭১ এর পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের হত্যাকান্ডের যে মিছিল চলমান আছে তা অচিরেই বন্ধ করতে হবে।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে গত এক যুগে চার শিক্ষককে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। হত্যাকান্ডের শিকার সকল শিক্ষক ছিলেন প্রগতিশীল চিন্তার। ধারাবাহিক এসব হত্যাকান্ডের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষক-শিক্ষার্থীরাদের একটাই প্রশ্ন, এভাবে কি চলতেই থাকবে?

এ বিষয়ে কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষক প্রভাষক সঞ্জয় মূখার্জী বলেন, রাবি শিক্ষক ড. ইউনূস, ড. তাহের, ড. শফিউলের পর এবার ড. রেজাউল হত্যাকান্ডের শিকার হলেন। তাঁর এই ঘৃন্য হত্যা আমাদের মুক্ত চিন্তার চর্চাকে ব্যাহত করেবে। আমরা এই হত্যার তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করছি।



মন্তব্য চালু নেই