১০৭ বছরেও পাননি বয়স্ক ভাতার কার্ড

আর কত বয়স হলে বয়স্ক ভাতা পাবো ?

আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ক্রমাগত উন্নয়ন এখন অনেকটাই দৃশ্যমান। এদেশের মানুষের মাথা পিছু গড় আয় অনেকাংশে বেড়েছে। এর পরেও দেশের বৃহৎ একটি জনগোষ্ঠী জীবন সংগ্রামে এখনও ক্ষুধা ও দারিদ্রতার সাথে প্রতিনিয়ত লড়াই করে চলেছে। দারিদ্রের করাল গ্রাস থেকে তারা কোন মতেই মুক্ত হতে পারছে না।
বয়সের ভারে হাটতে পারেন না তিনি। লাঠিতে ভর দিয়ে চলতে হয় দোরে দোরে।

এই বয়সে খেয়ে না খেয়ে মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন সাতক্ষীরা সদর উপজেলার মাছখোলা গ্রামের মরহুম জেহের আলী গাজীর পুত্র আহমদ আলী গাজী। তিনি ১০৭ বছর বয়সেও বয়স্ক ভাতা পাননি। সংসারে তার অনেকেই থাকলেও তাকে দেখার কেউ নেই। ১০৭ বছর বয়সটা তার এখন অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

১০৭ বছরের এই বৃদ্ধা গতকাল শহরে এসে একটি রোদ্রস্থানে বসে পড়ে এবং উপস্থিত স্থানীয়দের সাথে ক্ষোভ প্রকাম করে বলেন, তার বয়স্ক ভাতার কার্ড এখনো হয়নি। স্থানীয় মেম্বারদের কাছে একাধিকবার ধরনা দিলেও কোনো কাজ হয়নি। এলাকার মুরুব্বী থেকে শুরু করে চেয়ারম্যান মেম্বার সবার কাছেই ধরনা দিয়েছেন তিনি। তবুও ভাগ্যে মেলেনি একটি বয়স্ক ভাতার কার্ড। নিয়মিত খাওয়া-দাওয়া না করার কারণে শরীর শুকিয়ে গেছে তার। এসময় দৈনিক কাফেলার সাংবাদিককে দেখে তিনি বলেন আর কত বয়স হলে আমি ভাতা পাবো? শেষ বয়সে যদি ভাতা পেতাম তাহলে একটু সুখে শান্তিতে থাকতে পারতাম।

ব্রক্ষ্মরাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গোলাম আকবর কবির জানান, ‘বয়স্ক ভাতা প্রপ্তির ক্ষেত্রে পুরুষের বয়স ৬৫ বছর ও মহিলার বয়স ৬২ বছর হতে হবে। প্রতি বছর বা দু’বছর অন্তর যে কার্ড গুলো আমরা পাই তা ইউপি সদস্যদের মাধ্যমে সর্বোচ্চ বয়স্ক ব্যক্তি, শারীরিক ভাবে অক্ষম ও কর্মহীন ব্যক্তিদের মাঝে বন্টন করে থাকি। কিন্তু মেম্বাররা বয়স্ক ভাতার ক্ষেত্রে যে তথ্য দেয় তা সঠিকভাবে দেয়না। এ অর্থ বছরে আমরা এখনও পর্যন্ত বয়স্ক ভাতার কার্ড পায়নি। তবে কার্ড আসার সাথে সাথে স্থানীয় ইউপি মেম্বারের সাথে কথা বলে আমি বিষয়টি দেখবো বলে জানান তিনি।



মন্তব্য চালু নেই