আর্থিক বিষয়ে কথা বলবেন যাদের সাথে

জীবনে টাকা-পয়সাই সবকিছু নয়। তবে আবার টাকা-পয়সা ছাড়া সুন্দরভাবে জীবনযাপন করাও প্রায় অসম্ভব একটি ব্যাপার। পরিবারের জন্যে অন্তত মৌলিক অধিকার পূরণের জন্য হলেও অর্থই মূল বিষয়। তবে এক্ষেত্রে কিছুটা সমস্যা তৈরি হয়। যেমন, কোনো একটি পরিবারের কর্তার মাসিক আয় খুব অল্প। এই অল্প অর্থ দিয়েই সংসারটাকে চালিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করতে হয় তাকে। তবে হঠাৎ করে অনেকে এই বিষয়টি মানিয়ে নিতে পারে না। তাই আগে থেকেই এই বিষয়ে আলাপ-আলোচনা করলে ভবিষ্যতে তা আর কোনো সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে না। আসুন সে বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নিই।

জীবনসঙ্গীর সঙ্গে: সমস্যা ও সম্ভাবনা বিষয়ে
আপনার জীবনসঙ্গীর সঙ্গে আলোচনা করে নিন তাদের অর্থ বিষয়ে পরিকল্পনা ও এ বিষয়ে লক্ষ্য উদ্দেশ্য বিষয়ে। পরস্পরকে বোঝার জন্য এটা হতে পারে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বছরে অন্তত একবার এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করে নিন। জীবনের আর্থিক লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যগুলো ঠিকভাবে পালিত হচ্ছে কি না, এ বিষয়টি মিলিয়ে নিন।

সন্তান হওয়ার পর: তাদের সঙ্গে আয় ও সঞ্চয় বিষয়ে
আপনার সন্তান যখনই বুঝতে শিখবে যে, অর্থ দিয়ে জিনিস কেনা যায়, তখন থেকেই তাদের সঙ্গে এসব আলোচনা করুন। এতে তাদের বোঝাতে হবে যে, মানিব্যাগে অর্থ যাদুমন্ত্রবলে চলে আসে না। আপনি কতোটা পরিশ্রম করছেন এবং তা থেকে অর্থ আনছেন, বিষয়টি তাদের বুঝিয়ে বলুন। এতে আপনার কষ্টার্জিত অর্থ বিষয়ে তাদের সচেতনতা তৈরি হবে।

অফিসে বসের সঙ্গে: আপনার মূল্য ও সম্ভাবনা নিয়ে
বসের সঙ্গে আপনি নিশ্চয়ই শুধু বেতনের অংকটা বাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলবেন না। কীভাবে নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানে আপনি আরও কাজে আসতে পারবেন এ বিষয়ে আলোচনা করতে ভুলবেন না। এ ছাড়াও আলোচনা করুন আপনার দক্ষতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিষ্ঠানের উন্নতিতে আপনি কী করতে পারেন সে বিষয়ে। ব্যবসা বাড়ানোর সুযোগে কর্তারা নিশ্চয়ই খুশি হবে।

তরুণ-তরুণীদের সঙ্গে: দায়িত্ব ও কর্তব্য ও ধার-দেনা বিষয়ে
তরুণ তরুণীরা যারা উচ্চশিক্ষা জীবন শুরু করতে যাচ্ছে, তাদের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে তাদের ভবিষ্যৎ জীবনের আর্থিক পরিকল্পনা বিষয়ে। তাদের জানিয়ে দিতে হবে উচ্চশিক্ষার খরচ ও এ বিষয়ে আর্থিক পরিকল্পনা। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান উচ্চশিক্ষায় লোন দিয়ে থাকে। এসব নেওয়ার আগেও সবকিছু চিন্তাভাবনা করে নিতে হবে।

বাবা-মায়ের সঙ্গে: অবসরকালীন নানা বিষয়ে
বাবা বা মায়ের সঙ্গে তাদের অবসরকালীন আর্থিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করা উচিত। এ বিষয়টা মাথায় রাখতে হবে যে, কাউকে না কাউকে এগিয়ে যেতে হবে তাদের দেখাশোনা করার জন্য। সবচেয়ে ভালো হয় তাদের দেখাশোনার জন্য নিজ উদ্যোগে কিছু অর্থ জমিয়ে রাখলে। তাদের ভবিষ্যৎ চিকিৎসা ও অন্যান্য কারণে কখনো কখনো দ্রুত অর্থের প্রয়োজন হতে পারে। এজন্য কিছু সঞ্চয় করে রাখতে পারেন। এ বিষয়ে আলোচনার মাধ্যমে সবকিছু জেনে সঠিক পরিকল্পনা করে রাখা উচিত।



মন্তব্য চালু নেই