আম্পায়ারদের পক্ষপাতিত্বে বিরক্ত ক্ষুব্ধ খালেদা

আইসিসি বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচে দুই অ্যাম্পায়ারের পক্ষপাতিত্বমূলক সিদ্ধান্তে বিরক্তি ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।

বড় কোনো ম্যাচে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল জয় পেলে তাদের শুভেচ্ছা জানালেও অ্যাম্পায়ারিং নিয়ে এ-ই প্রথম মন্তব্য করলেন তিনি।

বৃহস্পতিবার ম্যাচ শেষে তাদের বিতর্কিত আম্পায়ারিংয়ের খবর শুনে এ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন খালেদা জিয়া।

মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরীন সুলতানা জানান, চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে স্যাটেলাইট টিভি সংযোগ এখনো বিচ্ছিন্ন। এখানে বিটিভিও দেখা যায় না। একারণে তিনি টেলিভিশনে খেলা দেখতে পারেননি। তবে অন্যরা রেডিওতে খেলার ধারাভাষ্য শুনেছেন। তারা চেয়ারপারসনকে খেলার নিয়মিত হালনাগাদ খবর দিয়েছেন।

তিনি আরো জানান, বাংলাদেশ দল ভারতের বিরুদ্ধে বড় রানের ব্যবধানে হারলেও তাদের পারফরমেন্সে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন খালেদা জিয়া। আর খেলা চলাকালে পক্ষপাতমূলক আম্পায়ারিংয়ে তিনি বিরক্তি ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কয়েকটি বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিয়ে সমালোচিত হচ্ছেন দুই আম্পায়ার আলিম দার ও ইয়ান গোল্ড। ভারতের ইনিংসে রোহিত শর্মা আউট হয়ে যেতেন ৯০ রানেই। রুবেলের বলে তিনি ক্যাচ দেন ইমরুলের হাতে। তবে সবাইকে অবাক করে দিয়ে নো বল দেন ইয়ান গোল্ড।

আবার মাশরাফির বলে এলবিডব্লিউর শিকার হয়েছিলেন সুরেশ রায়না। আম্পায়ার নট আউট দেন। বাংলাদেশ রিভিউ চায়। সেখানে দেখা যায় বল নিচু হয়েই লেগ স্ট্যাম্পে আঘাত করত। কিন্তু আম্পায়ার সিদ্ধান্ত বদলাননি।

বাংলাদেশ ইনিংসেও আম্পায়াররা হেঁটেছেন ভারতের পক্ষেই। মাহমুদুল্লাহর ক্যাচ সীমানার কাছাকাছি নিয়েছিলেন শিখর ধাওয়ান। যাতে মনে হয়েছিল তার পা স্পর্শ করেছে সাইডলাইন। কিন্তু রিপ্লেতে পরীক্ষা-নিরীক্ষা না করেই রিয়াদকে আউট দেন আম্পায়ার।

পাকিস্তানের আম্পায়ার আলিম দার আর ইয়ান গোল্ড ইংল্যান্ডের।



মন্তব্য চালু নেই