‘আমি ২০০ নারীকে ধর্ষণ করেছি, ৫০০ মানুষকে হত্যা’
সম্প্রতি নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে ধৃত এইসিস জঙ্গি আমার হুসেইন যে স্বীকারোক্তি করেছে, তা নাৎসি হলোকাস্টের কাহিনিকেও ম্লান করে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। হুসেইনের বক্তব্য অনুযায়ী, ইরাকে তার বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসার পর থেকে সে সন্ত্রস্ত ইয়েজিদি সম্প্রদায়ের উপরে আক্রমণে সামিল হয়। ক্রমাগত ইয়েজিদি নারীদের ধর্ষণ ও পুরুষদের হত্যা করতে করতে তার দিন কাটতে থাকে।
হুসেইনের বর্ণনা অনুযায়ী, কম-বেশি ৫০০ মানুষকে সে হত্যা করেছে তাদের চোখ বেঁধে মাথায় গুলি চালিয়ে। এই কাজ করতে গিয়ে যখনই সে দ্বিধা করেছে, তার বাহিনী তাকে সহর্ষ জানিয়েছে, এটা বীরোচিত কাজ। এটাই স্বাভাবিক। যাকে গুলি করা যায়নি, সরাসরি তার মাথা কেটে ফেলা হয়েছে। সংবাদ সংস্থা রয়টার-কে দওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে সে ক্রমাগত বর্ণনা রেখেছে আইসিস নারকীয়তার।
মাত্র ২১ বছর বয়সি হুসেইন ২০১৬-এর অক্টোবরে কুর্দ নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে ধরা পড়ে। তার বক্তব্য অনুযায়ী, ১৪ বছর বয়স থেকেই সে এই ইসলামি জঙ্গি সংগঠন আল-কায়দা-র সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়ে। মসুলের এক হতদরিদ্র পরিবারের সন্তান হুসেইনের মগজ ধোলাই করতে আল-কায়দা থিঙ্ক ট্যাঙ্কদের সবিশেষ বেগ পেতে হয়নি।
এই মুহূর্তে হুসেইন জেলে। সারাদিন কোরান পড়ে তার দিন কাটে। কাউন্টার টেরররিজম কাউন্সেলরদের সঙ্গে কথা বলে সে বুঝেছে তার অতীত এক ঘৃণ্য অধ্যায়। কোরন তাকে পথ দেখাবে কি? প্রকৃত ইসলাম তাকে শান্তি দেবে কি? এই প্রশ্ন সম্ভবত তারও অন্তরাত্মার।
মন্তব্য চালু নেই