‘আমি ধান্দাবাজি-চান্দাবাজি করি না’
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘আমি ধান্দাবাজি ও চান্দাবাজি করি না। অর্থাৎ আমি কাউকে ধান্দাবাজি ও চান্দাবাজি করার সুযোগ দেবো না। মন্ত্রীরা ধান্দাবাজ ও চাঁদাবাজ হলে তাদের আশপাশের লোকেরাও দুর্নীতিবাজ হয়।’
মঙ্গলবার দুপুরে সোনাগাঁও প্যান প্যাসিফিক হোটেল বাংলাদেশে তৈরি প্রথম শীতাতপ নিয়ন্ত্রীত বাস টাটা এলপি-৯০৯ এর শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘আনফিট যানবযাহন উচ্ছেদ করতে এবার আট ঘাট বেঁধে নেমেছি।’ এ অভিযানে রাজধানীতে যানবাহন সঙ্কট দেখা দিয়েছে। এ জন্য সবাইকে ধৈর্য্য ধরার আহ্বান মন্ত্রী।
‘বাংলাদেশের রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) অভিযান তো আছেই। এবার আমি নিজে থেকে এই অভিযান পরিচালনা করবো। আনফিট যানবাহন ও আনফিট ড্রাইভার থাকতে পারবে না।’ আনফিট যানবাহনের মালিক ও ড্রাইভারদের দেখে নেবেন বলে হুঁশিয়ার করে দেন মন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, ‘যানবাহন সঙ্কটের কারণে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ হতে পারে এই বিবেচনায় রাজধানীতে ২০০ বিআরটিসি বাস নামানো হয়েছে। ভালো কিছু পেতে হলে আমাদের একটু কষ্ট করতে হবে।’
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির সচিব মো. শওকত আলী, টাটা মটরসের কান্ট্রি হেড মুকুল মানিশ, বরিশাল চেম্বার অফ কমার্সের ভাইস প্রেসিডেন্ট জাহাঙ্গীর মানিক এবং নিটল মটরসের চেয়ারম্যান আব্দুল মাতলুব আহমদ উপস্থিত ছিলেন।
আব্দুল মাতলুব আহমদ বলেন, ‘টাটা এসি বাস উদ্বোধনের পর থেকে বাংলাদেশের সবচেয়ে আর্কষণীয় শীতাতপ নিয়ন্ত্রীত বাস টাটা এলপি-৯০৯ এর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হলো। আন্তঃজেলা শহড়গুলোতে এ বাস চলাচল করবে।’
’এলপি-৯০৯ এই অত্যাধুনিক এসি বাসে রয়েছে ৩৭৮৩ সিসি এবং ৯০ হর্স পাওয়ার ইঞ্জিন। এসির জন্য রয়েছে বিশেষভাবে তৈরি আলাদা ইঞ্জিন, রয়েছে আরামদায়ক প্রশস্ত বসার ব্যবস্থা। এছাড়া রয়েছে জরুরি অবস্থায় বের হওয়ার জন্য জানালা এবং গ্লাস খোলার যন্ত্র।
আরো জানানো হয়, এই বাসে বসতে পারবেন ৩৬ জন। জ্বালানি সাশ্রয়ী এই গাড়িটি এক লিটার তেলে সর্বোচ্চ ৭ কিলোমিটার পর্যন্ত চলবে। গাড়িটিতে রয়েছে ১৬০ লিটার তৈল ধারণক্ষমতা।
এই গাড়ি বাংলাদেশে তৈরি প্রথম শীতাতপ নিয়ন্ত্রীত অত্যাধুনিক ও আরামদায়ক বাস, যা বাংলাদেশের উত্তপ্ত আবহাওয়ায় মানুষের আরামদায়ক চলাচল নিশ্চিত করবে।
মন্তব্য চালু নেই