‘আমি খুব চিন্তিত’

দেশের রফতানিকারকেরা অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সঙ্গে দেখা করে ২১টি দাবি উত্থাপন করেছেন। জবাবে মন্ত্রী বলেন, “বিদ্যমান অবস্থায় আপনারা সাফার করছেন। তবে রাজনৈতিক এই পরিস্থিতির ইমপ্যাক্ট দুই মাসে ততটা হয়নি। দেখছি কী করা যায়। যে পরিস্থিতি চলছে, আমি খুব চিন্তিত; কত দিন চলবে। এটার একটা শেষ থাকতে হবে। কিন্তু কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে না।”

রফতানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ, বিকেএমইএ ও বিটিএমএর নেতারা সোমবার অর্থ মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে যান। এ সময় তিনি এ কথা বলেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, “এটা বিএনপির ডিউটি, তাদের কোনো ইন্ডিগেশন নেই। দলটি সংসদেও নেই। সংসদে থাকলে একটা ফোরাম থাকে। এটা একটি জাতীয় সমস্যা। আবার জাতীয় সমস্যা বলতেও ভয় করি।”

২১টি দাবির মধ্যে আছে— রাজনৈতিক অস্থিরতার সময়কালে নতুন করে কোনো রফতানি ঋণ শ্রেণিবিন্যাস না করা, এই সময়ের মধ্যে ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হলে তিন মাসের পরিবর্তে ছয় মাসের মধ্যে ঋণ শ্রেণিবিন্যাস করা, পোশাকসহ সব রপ্তানিকারককে ঋণ পুনঃতফসিলীকরণ করার সুযোগ দেয়া, রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত পুনঃতফসিলীকৃত ঋণের কিস্তি স্থগিত রাখা, পাঁচ বছরের প্রকল্প ঋণ তিন বছর বাড়িয়ে আট বছরের কিস্তিতে পরিশোধ করার সুযোগ দেয়া, ৫০০ কোটি বা তার চেয়ে বেশি পরিমাণ ঋণ পুনঃতফসিলের যে সুযোগ জানুয়ারিতে দেয়া হয়েছে, তা সব রপ্তানিকারকের জন্য প্রযোজ্য করা ইত্যাদি।

ব্যবসায়ীদের দাবি-দাওয়ার বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, “আমি চিন্তায় আছি। আমি বসব আপনাদের সঙ্গে। ব্যবস্থা একটা নেব। কালকে নেব বা পরশু নেব। তবে নেব।”

এ সময় রফতানিকারকদের পক্ষে বিজিএমইএর সভাপতি মো. আতিকুল ইসলাম চলমান হরতাল-অবরোধে ক্ষয়ক্ষতির বিবরণ অর্থমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরেন।



মন্তব্য চালু নেই