আমাকে ডিভোর্স দিতে হলে রাশেক মরে যাবে : রিচি

নিজের সংসার ভাঙ্গার খবর নিয়ে অবশেষে মুখ খুললেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী রিচি সোলায়মান। সম্প্রতি কাছে রিচি তার অবস্থান তুলে ধরেছেন। জানিয়েছেন, না তার সংসার ভাঙছে না। তার স্বামীও তাকে দিচ্ছেন না ডিভোর্স। বরং এটি কোন আগন্তুকের উদ্দেশ্যমূলক ষড়যন্ত্র বলে অভিহীত করেছেন রিচি।

এর আগে রিচির স্বামী রাশেকুর রহমান মালিক বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে মেইল করে জানান যে, রিচির সঙ্গে তিনি আর সংসার করতে আগ্রহী নন। নানা ধরণের অভিযোগও তিনি তুলে ধরেন সে চিঠিতে। কিন্তু এ বিষয়টিতে মিথ্যে বলে উড়িয়ে দিয়েছেন রিচি নিজেই। রিচির অভিযোগ মেইলটি তার আমেরিকা প্রবাসী স্বামী পাঠান নি। পাঠানো হয়েছে দেশ থেকে। প্রশাসনের সহযোগিতায় এমন তথ্যই আবিস্কার করেছেন রিচি।

রিচি বলেন, ‘মানুষের কাছে একটা বিভ্রান্তি তৈরী হয়েছে। গত ২ জুলাই কে বা কারা আমার স্বামীর নামে ভূয়া একাউন্ট খুলে সব পত্রিকায় আজেবাজে কথা লিখে মেইল করে। এটা আমার স্বামী করেনি। আমি পুলিশের মাধ্যমে র‌্যাব এবং ডিজিএফআইর সহযোগিতায় আইপি এড্রেস বের করে এতটুকু নিশ্চিত হয়েছি যে এটা বাংলাদেশ থেকে হয়েছে। কোথা থেকে করেছে, কে করেছে আমি তা জানি না। এটা নিয়ে কিছু গণমাধ্যম আমার সঙ্গে কথা না বলেই সংবাদ প্রচার করে। যা সত্যি নয়। আমার স্বামীর সঙ্গে প্রতিদিন তিন-চার ঘন্টা ধরে কথা হচ্ছে। অথচ এখন আমার আত্মীয়-স্বজন সবার কাছে আমার কথা শুনতে হচ্ছে। আমি খুব অপদস্থ হয়েছি। সবাই আমাকে করুনার ভঙ্গিতে বলছে যে-ওহ স্যরি তোমার হাজব্যান্ড তোমাকে ছেড়ে দিচ্ছে..’

রিচি বলছেন, তার স্বামী রাশেকুর রহমান মালিক এ প্রসঙ্গে আগে থেকে কিছুই জানতেন না। ঘটনার দিন তিনি কোর্টে ছিলেন। ওইদিন দেশ থেকে প্রচুর ফোন গেলেও ব্যস্ত থাকায় ফোন ধরতে পারেন নি রাশেক। তিনি তাৎক্ষনিক ঘটনার কারন অনুধাবনে ব্যর্থ হন। পরে রিচির সঙ্গে কথা বলে কারনটি জানতে পারেন রাশেক। এমনই বলছেন রিচি।

তবে স্বামীর সঙ্গে মনোমালিন্যের কথা স্বীকার করে রিচি বলেন, স্বামী স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য হতেই পারে। মনোমালিন্য কার মধ্যে হয় না। আমার মা-বাবার মধ্যে মনোমালিন্য হয়নি? আপনার মা-বাবার মধ্যে মনোমালিন্য হয়নি?’

তবে এসব মনোমালিন্যের জের ধরে চাইলেও তার স্বামী তাকে সহজেই ডিভোর্স দিতে পারবেন না বলে মনে করেন রিচি সোলায়মান। উদাহরণ দিয়ে রিচি বলেন, আমার বাচ্চাটা আমেরিকার বর্ন সিটিজেন। আমাকে ডিভোর্স দিতে হলে রাশেক মরে যাবে। ওর বাড়ি-গাড়ি ওর সবকিছু আমাকে দিয়ে দিতে হবে। ওর সবকিছু শেষ হয়ে যাবে। আমেরিকায় ডিভোর্স এত সহজ না। বাংলাদেশে যেমন কাগজ পাঠিয়ে দিলে তিন মাসের মাথায় তা কার্যকর হয়ে যায় ওখানে তেমন না। এটি দীর্ঘ্য প্রক্রিয়া। পাঁচ থেকে সাত বছর সময় লাগে। তারপর বাচ্চার নামে অর্ধেক সম্পত্তি লিখে দিতে হয়।’

এ ব্যাপারে রিচি চান সবাই যেন তাকে ভুল না বোঝেন। এ লক্ষ্যে শনিবার রিচি এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজনও করেছেন। উত্তরার ৪ নাম্বার সেক্টরে নিজের বাসায় ভিডিও কলে রিচির স্বামীর সঙ্গে কথা বলে তার উক্ত বক্তব্যগুলোতে বিশ্বাস স্থাপন করবেন গণমাধ্যম কর্মীরা এমনই প্রত্যাশা রিচির।



মন্তব্য চালু নেই