আমরা কান্না করি কেন?

কান্না করা মানে হচ্ছে কোনো আবেগময় অবস্থার কষ্ট চোখের পানির মাধ্যমে প্রকাশ করা। অর্থাৎ দেখা যায়, আমরা যখনই কোনো আবেগময় অবস্থায় পড়ি তখনই তার বহিঃপ্রকাশ ঘটাই কান্নার মাধ্যমে। এই কান্নাটা আসলে কীভাবে হয় আর আমরা কেনই বা কেঁদে থাকি?

কান্না আসলে সিক্রেটোমোটর ফেনোমেননের একটি জটিল প্রক্রিয়া যা চোখের ল্যাক্রিমাল অংশ থেকে পানি আকারে বের হয়। মানবদেহের মস্তিষ্কের সাথে ল্যাক্রিমাল গ্ল্যান্ডের একটা আন্তঃযোগাযোগ রয়েছে যার ফলে যখনই আমাদের মস্তিষ্কে আবেগঘন মুহুর্ত তৈরি হয়, তখনই ল্যাক্রিমাল গ্ল্যান্ডে আঘাত করে এবং এর ফলে আমরা কান্না করি।

বিজ্ঞানীরা মনে করেন যে মানুষ যখন কোনো ধরনের কষ্ট অনুভব করে, তখন কান্নার মাধ্যমে এক ধরনের হরমোন নিঃসৃত হয় যার ফলে সে অনেকটা হালকা আর প্রশান্ত অনুভব করে। এ কারণে বেশিরভাগ সময়ে দেখা যায় কান্না করলে আমাদের মনের মানসিক চাপটা অনেক কমে আসে।

অনেক বিজ্ঞানীরা মনে করেন শুধু মানুষই কান্না করতে পারে। কিন্তু কিছু বিজ্ঞানী এই তথ্যকে অস্বীকার করে বলেছেন সব প্রাণীরই কান্না করার ক্ষমতা আছে এবং তারা কান্না করে। চার্লস ডারউইন তার লেখা ‘দ্য এক্সপ্রেশন অফ দ্য ইমোশন ইন ম্যান এন্ড অ্যানিমেলস’ গ্রন্থে বলেন যে, লন্ডনের চিড়িয়াখানার দায়িত্বে থাকা একজন তাকে বলেন ‘পশুপাখিরও আবেগ রয়েছে এবং তারাও কান্না করতে পারে। আর অামি নিজের চোখে দেখেছি এখানকার হাতিগুলোকে কান্না করতে।’



মন্তব্য চালু নেই