আবারো স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা, আটক ১

পাবনা : জেলার বেড়া উপজেলার পেঁচাকোলা নদী থেকে সোমবার সকালে চতুর্থ শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীর ভাসমান লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে মনিরুল ইসলাম নামে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ।

সোমবার সকালে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। পুলিশের ধারণা ওই ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা করে লাশ নদীতে ফেলে দেয়া হয়েছে। ওই ছাত্রীর নাম চায়না খাতুন। সে পেঁচাকোলা গ্রামের রফিকুল ইসলামের মেয়ে ও স্থানীয় স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী।

বেড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ আহমেদ জানান, রোববার দুপুরে স্থানীয় স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী চায়না খাতুন বাড়ির পাশে যমুনা নদীতে গোসল করতে যায়। এরপর থেকে চায়নাকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। সোমবার সকালে নদীর ধারে চায়নার কাপড় পড়ে ছিল। পরে স্থানীয়রা নদীতে ভাসমান একটি লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশটি উদ্ধার করে।

ওসি ফিরোজ জানান, নিহতের স্বজনরা লাশটি ডাঙ্গায় তুলে আনার পর চায়নার মৃতদেহ বলে নিশ্চিত করে।

ওসি ফিরোজ নিহতের বাবা রফিকুল ইসলামের বরাত দিয়ে জানান, শিশু চায়না গোসল করতে নদীতে যাবার সময়ে স্থানীয় বাসিন্দা তিরা মণ্ডলের ছেলে মনিরুল ইসলাম তার পিছু নেয়। পরিবারের ধারণা, চায়নাকে মনিরুল ইসলাম ধর্ষণের পর হত্যা করে লাশটি নদীতে ফেলে দিয়েছে। পুলিশ এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে মনিরুল ইসলামকে আটক করেছে।

পুলিশ জানায়, ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। এ ঘটনায় থানায় সংশ্লিষ্ট বিষয়ে মামলা দায়ের করা হবে বলেও জানায় পুলিশ।



মন্তব্য চালু নেই