আবারো কারাগারে মেয়র আরিফ
সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলায় সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সাময়িক বরখাস্তকৃত মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর জামিনের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন নামঞ্জুর করেছেন সিলেট বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল। সোমবার দুপুরে জামিনের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন নামঞ্জুর হওয়ায় ১৫ দিন মুক্ত থাকার পর আবার কারাগারে পাঠানো হয়েছে আরিফকে।
বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি অ্যাডভোকেট কিশোর কুমার কর জানান, সাবেক অর্থমন্ত্রী এএমএস কিবরিয়া হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দায়েরকৃত পৃথক দুটি মামলায় (হত্যা ও বিস্ফোরক) আরিফুল হক চৌধুরী ১৫ দিনের জামিন পেয়েছিলেন।
তিনি জানান, সেই জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় আরিফ সোমবার নিজের অসুস্থতা এবং তার মায়ের অসুস্থতার বিষয়টি জানিয়ে আদালতে জামিনের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন জানিয়েছিলেন। শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মকবুল আহসান আরিফুল হক চৌধুরীর জামিনের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন নামঞ্জুর করেন।
আওয়ামী লীগের উপদেষ্ঠা পরিষদের সদস্য ও সাবেক অর্থমন্ত্রী এএসএম কিবরিয়া হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় হত্যা মামলা ও বিস্ফোরক মামলায় ১৫ দিনের জামিন পেয়ে গত ২৮ মার্চ কারামুক্ত হন আরিফ।
প্রসঙ্গত, গত ১৩ সেপ্টেম্বর সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলার চার্জ (অভিযোগ) গঠন করা হয়। মামলার কারান্তরীণ ও জামিনে থাকা সকল আসামির উপস্থিতিতে মোট ৩২ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জ গঠন করা হয়।
অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন প্রাক্তন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, সিসিকের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র জিকে গউছ, হরকাতুল জিহাদ নেতা মুফতি হান্নান প্রমুখ।
২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জ সদরের বৈদ্যের বাজারে এক জনসভায় গ্রেনেড হামলায় নিহত হন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া। হামলায় নিহত হন কিবরিয়ার ভাতিজা শাহ মনজুরুল হুদা, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রহিম, আবুল হোসেন ও সিদ্দিক আলী। এ ঘটনায় হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক আবদুল মজিদ খান হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা দায়ের করেন।
তিন দফা তদন্তের পর এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির সিলেট অঞ্চলের সহকারী পুলিশ সুপার মেহেরুন নেছা পারুল ২০১৪ সালের ২১ ডিসেম্বর আরিফুল, গউছ এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরীসহ ১১ জনের নাম যোগ করে মোট ৩২ জনের বিরুদ্ধে সম্পূরক অভিযোগপত্র দেন। হবিগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ মো. আতাবুল্লাহ মামলাটি বিচারের জন্য গত ১১ জুন সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠিয়ে দেন।
মন্তব্য চালু নেই