আবারও নেইমার-সুয়ারেসে নৈপুণ্যে বার্সার জয়

আবারও নেইমার ও লুইস সুয়ারেস নৈপুণ্যে গ্রানাদাকে ৪-১ গোলে হারিয়েছে বার্সেলোনা। গতকাল রবিবার রাতে সুয়ারেসের গোলে প্রথমে এগিয়ে যায় বার্সেলোনা। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে জেরেমি বোগা সমতা টানলেও চ্যাম্পিয়নদের রুখতে পারেনি। পাকো আলকাসেরের গোলে আবার এগিয়ে যাওয়ার পর আত্মঘাতী গোলে ব্যবধান বাড়ে। দলের চতুর্থ গোলটি করেন নেইমার।

সুয়ারেস জর্দি আলবার বাড়ানো বল ধরে ডি-বক্সের ঠিক বাইরে থেকে গোলরক্ষকের মাথার উপর দিয়ে প্রথম জালে পাঠান বল। এবারের লিগে সুয়ারেসের গোল হলো ২৩টি। দুই গোল বেশি নিয়ে তালিকার শীর্ষে লিওনেল মেসি। সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কবার রক্ষণভাগের দুর্বলতায় ভুগতে হয়েছে বার্সেলোনাকে। এদিন আরও একবার তা ফুটে ওঠে। আর সেই সুযোগে ৫০তম মিনিটে সমতায় ফেরে প্রথমার্ধের কোণঠাসা গ্রানাদা।

স্বাগতিকদের সমতায় ফেরার স্বস্তি অবশ্য বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। ৬৪তম মিনিটে সুয়ারেসের উঁচু করে বাড়ানো বল পেয়ে ডি-বক্সে ঢুকে দলকে ফের এগিয়ে দেন ম্যাচের শুরুতে রাফিনিয়ার বদলি নামা আলকাসের।

৮২তম মিনিটে নাইজেরিয়ার ডিফেন্ডার উচে আগবো দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখলে ১০ জনের দলে পরিণত হয় গ্রানাদা। পরের মিনিটেই ডিফেন্ডার সাউনিয়েরের আত্মঘাতী গোলে স্কোরলাইন হয়ে যায় ৩-১। দুইজনকে কাটিয়ে নেইমার ছোট পাস দেন সুয়ারেসকে আর তিনি বাড়ান রাকিতিচকে। ক্রোয়েশিয়ার এই মিডফিল্ডারের শট সাউনিয়েরের পায়ে লেগে দিক পাল্টে জালে জড়ায়।

পরের পাঁচ মিনিটে নেইমার জাদুতে আরও দুটি সুযোগ পায় বার্সেলোনা। কিন্তু ব্যবধান বাড়েনি। এর মধ্যে একবার নিজেই লক্ষ্যভেদে ব্যর্থ হন ব্রাজিলের ফরোয়ার্ড।

অবশেষে যোগ করা সময়ে জালের দেখা পান নেইমার। ডান দিক থেকে সুয়ারেসের পাস ফাঁকায় পেয়ে অনায়াসে দলের শেষ গোলটি করেন সময়ের অন্যতম সেরা তারকা। অন্তিম মুহূর্তে পেতে পারতেন আরেকটি। কিন্তু বল পোস্টে বাধা পায়। এই জয়ের পর ২৯ ম্যাচে বার্সেলোনার পয়েন্ট হলো ৬৬, দ্বিতীয় স্থানে তারা।

দিনের অন্য ম্যাচে দেপোর্তিভো আলাভেসকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। ২৮ ম্যাচে ৬৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে জিনেদিন জিদানের দল। ২৯টি করে ম্যাচ খেলা আতলেতিকো মাদ্রিদ ও সেভিয়ার পয়েন্ট সমান ৫৮।



মন্তব্য চালু নেই