আবারও কি বাড়বে সিম নিবন্ধনের সময়?

সরকারি ঘোষণা অনুসারে বাংলাদেশে আঙ্গুলের ছাপ সহকারে মোবাইল ফোন সিম পুনর্নিবন্ধন কার্যক্রমের সময় আছে আর দু‌ই দিন। কিন্তু এখনো দ্বিধা-দ্বন্দ্বের কারণে নিবন্ধন সম্পন্ন হয়নি অনেক গ্রাহকের।

মোবাইল ফোন অপারেটরদের বিভিন্ন কাস্টমার সেন্টারে শেষ দিকে এসে দেখা যাচ্ছে বেশ ভিড়। দীর্ঘ সময় লাইনে দাড়িয়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে অনেককে। আবার অনেকেই জাতীয় পরিচয়পত্রের সাথে হাতের ছাপ না মেলায় ভোগান্তিতে পড়ার অভিযোগ তুলছেন।

অনেকের প্রশ্ন, সময় কি বাড়ানো হবে ? আর সময় না বাড়লে সিমের পরিণতি কি হবে? এমন প্রেক্ষাপটে পুনর্নিবন্ধনের সময় বাড়ানোর আবেদন করেছে গ্রাহক সংখ্যার দিক থেকে শীর্ষে থাকা মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোন।

প্রতিষ্ঠানটির চীফ অব করপোরেট অ্যাফেয়ার্স মাহমুদ হোসেন জানান, তাদের জানামতে, অন্য অপারেটররাও সময় বাড়ানোর জন্য আবেদন করেছেন। গ্রামীণফোনের তথ্যমতে, তাদের গ্রাহক সংখ্যা ৫ কোটি ৬৮ লাখ। ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত তাদের ৬৪ শতাংশ সিম পুনর্নিবন্ধন কাজ সম্পন্ন হয়েছে। অর্থাৎ ৩৬ শতাংশ এখনো বাকি আছে।

হোসেন বলেন, সময়সীমা অনুসারে সবার নিবন্ধন সম্পন্ন করা অসম্ভব ব্যাপার। শেষ তিন দিনে আরও তিন শতাংশের মতো গ্রাহককে নিবন্ধনের আওতায় আনা যাবে বলে তিনি মনে করেন। এমন প্রেক্ষাপটে রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রেও লোকসানের আশঙ্কায় রয়েছে মোবাইল ফোন কম্পানিগুলো।

হোসেন জানান, বড় ধরনের রেভিন্যু হারানোর ব্যাপার থাকবে। তা ছাড়া যাদের নিবন্ধন হয়নি তারা সবাই অ্যাক্টিভ বা সচল সিমের গ্রাহক। সেটি বিবেচনায় রাখা উচিত বলে তিনি মন্তব্য করেন। এসব কারণেই তারা সময় বাড়ানোর আবেদন করেছেন।

তিনি বলেন, আমরা সরকারি নির্দেশনার অপেক্ষায় আছি। সময়টা বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য আমরা দুই মাস সময় বাড়িয়ে দেওয়ার আবেদন করেছি। আমাদের জানামতে, সব অপারেটররাই এমন অনুরোধ করেছে।

তিনি আরও বলেন, একটা সময় নিবন্ধন কাজে বেশ গতি পেয়েছিল কিন্তু মাঝখানে মামলা হওয়ায় কাজে গতি অনেকটাই কমে যায়। অনেক কারণেই গ্রাহকেরা নিবন্ধন করতে পারেনি। অনেকেই হয়তো দ্বিধায় ছিল। গ্রাহকদের সুবিধা বিবেচনা করে সময় বাড়ানো হবে বলেই আমরা আশা করি।

আঙুলের ছাপ দেওয়ার বিষয়ে যে উদ্বেগ দেখা যাচ্ছে সে প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটা পুরোটাই অমূলক। আমরা তো আঙুলের ছাপ সংগ্রহ করছি না। আমাদের রিটেইল সেন্টারে যখন আঙুলের ছাপ, এনআইডি নম্বর কিংবা জন্ম তারিখ দিচ্ছেন গ্রাহক সেটি নির্বাচন কমিশনের ডেটাবেইসে ভেরিফাইড হচ্ছে। আমাদের এখানে কিন্তু কিছু হচ্ছে না। নির্বাচন কমিশনে ভেরিফাইড হলে আমাদের ইয়েস বলছে, না হলে নো বলছে। মোবাইল অপারেটরদের দিক থেকে আঙুলের ছাপ সংরক্ষণের কোনো ধরনের সুযোগ নেই। হাতের ছাপ যাদের মিলছে না তারা নির্বাচন কমিশন অফিসে গিয়ে তা ঠিক করে নেওয়ার সুযোগ রয়েছে বলে তিনি জানান। সুত্র- সংবাদ প্রতিদিন



মন্তব্য চালু নেই