আবহাওয়া কেমন যাবে পহেলা বৈশাখে

আর মাত্র দুই দিন, শুরু হবে বাংলা ১৪২১ সাল। সারা দেশে শুরু হয়ে গেছে বর্ষবরণের আয়োজন। কিন্তু পহেলা বৈশাখের দিনটি কেমন যাবে? সেইদিন কালবৈশাখি ঝড়ে সব লণ্ডভণ্ড হয়ে যাবে নাকি বৃষ্টিতে ভিজে মলিন হবে নববর্ষের আনন্দ? পহেলা বৈশাখে বিশেষ করে সন্ধ্যার আগে ঝড় হয় এমন আশঙ্কা পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে সবার মধ্যেই থাকে। তাই আগে ভাগে সেই দিনটিতে প্রকৃতির মন-মর্জি জানতে আবহাওয়াবিদদের শরণাপন্ন হওয়া- ঢাকার আবহাওয়াবিদরা অবশ্য হতাশ করছেন না। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ঝাঁ তকতকে রোদ জ্বলা দিন। বাতাসের আর্দ্রতা কমই থাকবে। রাস্তায় পার্কে ধূলো উড়বে। শরীর ঘামবে, তৃষ্ণায় মানুষ ও প্রাণীকূল হাঁসফাঁস করবে, সেই সুযোগে ঠাণ্ডা শরবত, গাজর, শশা, তরমুজের চাহিদা বাড়বে, সরবরাহ-চাহিদা নীতি অনুযায়ী বাড়বে দামও।
টেঁকের টাকা খসলেও মিলবে প্রশান্তি। বিকেল থেকে শুরু হওয়া হুলুস্থূল আর কানে তালা লাগানো কনসার্টে শরীর দোলাতে গিয়ে আবার ঘাম ছুটবে। বেলা গড়াবে হিমেল হাওয়া বইবে। সূর্যের বাহাদুরি কমবে। শীতল হাওয়া লেগে আরাম বোধ হবে। কিন্তু বেশিক্ষণ সইবে না এ সুখ। শিগগিরই হাওয়ার বেগ বাড়বে, হাওয়া হবে ঝড়োহাওয়া, ধূলায় অন্ধকার করে ফেলবে চারদিক। পরক্ষণেই নামবে বৃদ্ধি- ধূলোর গোষ্ঠী সাফ!
আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেয়া পহেলা বৈশাখের আবহাওয়ার পূর্বাভাসটা কিন্তু এরকমই। তবে এখানে কোনো বুজরুকি নেই। প্রতি বছরই এমনটা হয়। পহেলা বৈশাখের দিন দেশের কোথাও কোথাও হালকা ও মাঝারি বৃষ্টি ও ঝড় হয়ে থাকে। এবারও তার ব্যত্যয় ঘটছে না। ঢাকা আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক জানান, সেইদিন প্রধানত আবহাওয়া শুষ্কই থাকবে। তবে বিকেলে মাঝারি ধরনের ঝড় ও বৃষ্টি হতে পারে। তারপরও এ সম্ভাবনা একেবারেই ক্ষিণ।


মন্তব্য চালু নেই