আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে সমন জারি
পবিত্র হজ্ব এবং মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার অভিযোগে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে দায়ের করা দু’টি মামলায় তাকে তলব করেছে ঢাকার আদালত।
আবদুল লতিফ সিদ্দিকীকে আগামী ২৮ ও ৩০ অক্টোবর ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির হয়ে তার বক্তব্যের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে হবে বলে এক আদেশে জানায় আদালত।
বুধবার সকাল ১১টার দিকে ঢাকা মেট্রোপলিটন আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট এএনএম আবেদ রেজা এবং আলহাজ মো. বাদল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মিজানুর রহমানের আদালতে প্রথম মামলাটি দায়ের করেন। দ্বিতীয় মামলাটি পূর্ব ইসলামবাগের চামড়া ব্যবসায়ী মো. বাদল মিয়া দায়ের করেন।
প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রীর সাথে জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইর্য়ক সফরকালে গত ২৮ সেপ্টেম্বর একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকী বলেন, আমি কিন্তু হজ্ব আর তাবলিগ জামাতের ঘোরতর বিরোধী। আমি জামায়াতে ইসলামীরও বিরোধী। তবে তার চেয়েও হজ্ব ও তাবলিগ জামাতের বেশি বিরোধী। এ হজ্বে যে কত ম্যানপাওয়ার নষ্ট হয়। হজ্বের জন্য ২০ লাখ লোক আজ সৌদি আরবে গিয়েছে। এদের কোনও কাম নাই। এদের কোনও প্রডাকশন নাই। শুধু রিডাকশন দিচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, তাবলিগ জামাত প্রতি বছর ২০ লাখ লোকের জমায়েত করে। নিজেদেরতো কোনও কাজ নেই। সারা দেশের গাড়িঘোড়া তারা বন্ধ করে দেয়।
তিনি তার বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তনয় সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিষয়েও বিরূপ মন্তব্য করেন। তিনি প্রবাসী বাংলাদেশীদের উদ্দেশ্যে বলেন, কথায় কথায় আপনারা জয়কে টানেন কেন। ‘জয় ভাই’ কে। জয় বাংলাদেশ সরকারের কেউ নয়। তিনি কোন সিদ্ধান্ত নেয়ারও কেউ নন।
প্রবাসীদের সম্পর্কে এসময় তিনি মন্তব্য করেন, বিদেশে এসেছেন কামলা দিতে। রাজনীতি করার দরকার কী?
মঞ্চে বসা টাঙ্গাইলের মুক্তিযোদ্ধা ও যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ড. নুরুন্নবীকে উদ্দেশ করে মন্ত্রী বলেন, নির্বাচনের জন্য একবার তাঁর (নুরুন্নবী) কাছে চাঁদা চেয়েছিলাম। তিনি ৫০ হাজার টাকা দিয়েছিলেন। আবদুল লতিফ সিদ্দিকী এক লাখের কম কারও কাছ থেকে চাঁদা নেয় না।
মন্তব্য চালু নেই