আপনি কি মাছ-মুরগি রেগুলার খাচ্ছেন, তবে সাবধানতা আপনার জন্য!

রাজধানীর হাজারীবাগে ট্যানারির বিষাক্ত বর্জ্য দিয়ে তৈরি করা হয় মুরগি ও মাছের খাদ্য। ওইসব মাছ, মুরগি বা ডিম খেলে মানুষের ক্যানসার, টিউমার, পাকস্থলি বা ক্ষুদ্রান্ত্র আলসার, অ্যাজমা, শ্বাসকষ্ট, চর্মরোগ হতে পারে।

আর এসব খাদ্য তৈরির দায়ে সাতজনকে জেল-জরিমানা করেছে র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- জয়নাল আবেদিন, জাহাঙ্গীর, আবুল কালাম আজাদ, গোলাম সারোয়ার, কালাম, নাসির উদ্দিন ও সাইদ শেখ।
বুধবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত হাজারীবাগের শিপন ফিড মিল, শোয়েব এন্টারপ্রাইজ এবং খলিলের মাছের আউশ নামক তিনটি কারখানায় অভিযান চালায় র‌্যাব-২ এর ভ্রাম্যমাণ আদালত। এতে নের্তৃত্ব দেন র‌্যাব-২ এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হেলাল উদ্দিন। জেল-জরিমানা ছাড়াও কারখানা তিনটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

র‌্যাব-২ এর উপ-পরিচালক দিদারুল আলম বলেন, ‘সাজাপ্রাপ্ত কারখানার মালিকরা ট্যানারি থেকে আনা চামড়ার বর্জ্য সিদ্ধ করে ছাদে শুকিয়ে শুঁটকি বানায়। ওই শুঁটকি ১৭ টাকা কেজি হিসেবে পাইকারি বিক্রি করে এবং নিজেরাই গুড়া করে ফিড তৈরি করে। তাদের কাছ থেকে শুঁটকি কিনে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে অন্যরাও ক্ষতিকর ফিড তৈরি করছে। গত কয়েক বছর ধরে এভাবে ফিড তৈরি করা হচ্ছে বলে কারখানার শ্রমিকরা জানিয়েছে।
তিনি বলেন, মুরগি বা মাছের খাবারে ৩০ পিপিএম মাত্রার বেশি ক্রোমিয়াম থাকা ঝুঁকিপূর্ণ হলেও ওই কারখানাগুলোতে উৎপাদিত ফিডে প্রায় পাঁচ হাজার পিপিএম মাত্রায় ক্রোমিয়াম পাওয়া গেছে। তবে মুরগি বা মাছের দ্রুত বৃদ্ধি হওয়ায়, ডিমের আকার বড় এবং দামে কম হওয়ায় অসাধু ব্যবসায়ীরা ক্ষতিকর ট্যানারি বর্জ্য খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করছে।

এ ফিড মাছ বা মুরগি খেলে মলমূত্রের মাধ্যমে খানিকটা বের হয়ে গেলেও একটা বড় অংশ মাছ বা মুরগির শরীরে জমা হতে থাকে। ওইসব মাছ, মুরগি বা ডিম খেলে মানুষের শরীরে ক্রোমিয়াম প্রবেশ করে এবং মলমূত্রের মাধ্যমে সবটা বের হতে না পেরে শরীরে জমা হতে থাকে। এতে ক্যানসার (বিশেষত ফুসফুস ক্যানসার), টিউমার, পাকস্থলি বা ক্ষুদ্রান্ত্র আলসার, অ্যাজমা, শ্বাসকষ্ট, চর্মরোগ হতে পারে। এসব অপরাধের দায়ে প্রতিষ্ঠান তিনটিকে সিলগালা এবং সাতজনকে জরিমানা, জরিমানা অনাদায়ে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট।



মন্তব্য চালু নেই