আপনি কি জানেন যে পর্দা করা ফরজ?
পর্দা শব্দের আরবি প্রতিশব্দ হচ্ছে ‘হিজাব’। এর শাব্দিক অর্থ প্রতিহত করা, বাধা দান করা, গোপন করা, আড়াল করা, ঢেকে রাখা ইত্যাদি। ইসলামের পরিভাষায় প্রাপ্তবয়স্ক মেয়েদের আপাদমস্তক গায়ের মাহরাম পুরুষ থেকে ঢেকে রাখাকে ‘হিজাব’ বা পর্দা বলে।
ইসলামী শরিয়তে নারী-পুরুষ উভয়ের জন্যই পর্দা ফরজ করা হয়েছে। পর্দাব্যবস্থা আল্লাহর এমন এক উত্তম বিধান যা পুরুষকে পাশবিক উচ্ছৃঙ্খলতা থেকে হিফাজত করে এবং মানবিক মর্যাদার উচ্চাসনে অধিষ্ঠিত করে।
পর্দার বিধান ঘোষণা করে পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহপাক এরশাদ করেন ‘হে নবী! মুমিন পুরুষদের বলে দিন, তারা যেন নিজেদের দৃষ্টি সংযত করে রাখে এবং নিজেদের লজ্জাস্থানের হিফাজত করে। এটি তাদের জন্য পূত-পবিত্র পদ্ধতি। তারা যা কিছু করে, আল্লাহ তা জানেন। আর মুমিন মহিলাদের বলে দিন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি সংযত করে রাখে এবং নিজেদের লজ্জাস্থানের হিফাজত করে। আর তারা যেন স্বীয় সাজসৌন্দর্য না দেখায়, তবে যা নিজে নিজে প্রকাশ হয়ে যায় … তা ছাড়া তারা যেন তাদের মাথার ওড়না বক্ষদেশে ফেলে রাখে। এবং তারা কারো সামনে তাদের সাজসৌন্দর্য প্রকাশ করবে না এই মাহরাম আত্মীয়গণ ব্যতীত যথা স্বামী, পিতা, শ্বশুর, পুত্র, ভ্রাতা ভ্রাতুষ্পুত্র, ভগ্নিপুত্র, স্ত্রীলোক, অধিকারভুক্ত, বাঁদী, নারীর প্রতি স্পৃহাহীন সেবক, ওই সব বালক যারা নারীর গোপনীয় বিষয় সম্পর্কে অবহিত হয়নি। তারা যেন পথচলার সময় এমন পদধ্বনি না করে যাতে তাদের অপ্রকাশিত সৌন্দর্য পদধ্বনিতে প্রকাশিত হয়ে পড়ে। ‘হে মুমিনগণ! তোমরা সবাই আল্লাহর কাছে তওবা কর যাতে তোমরা সফলকাম হও।’ (সুরাঃ নূর, আয়াত- ৩১)।
পর্দা দু’ভাগে বিভক্তঃ (১) চোখের পর্দা, (২) দেহের পর্দা।
চোখের পর্দা নারী-পুরুষ উভয়ের জন্যই ফরজ। আর দেহের পর্দা বিশেষভাবে নারীর জন্য ফরজ। আর নারীদের পর্দা যাতে লঙ্ঘিত না হয় সেভাবে পুরুষদের চলে নারীদের পর্দা বজায় রাখতে সহায়তা করা পুরুষদের জন্য ফরজ। অপর দিকে ফরজ সতর আবৃত রাখার হুকুম পালন নারী-পুরুষ উভয়ের জন্যই ফরজ।
সর্বোত্তম পর্দা হিসেবে মহিলাদেরকে সর্বদা ঘরে অবস্থান করতে বলা হয়েছে। এ জন্য একান্ত প্রয়োজন ছাড়া মহিলাদের বাইরে বের হওয়া নিষেধ। (মুসলিম শরিফ) এ সম্পর্কে মহান আল্লাহপাক এরশাদ করেন, ‘(হে নারীগণ!) তোমরা আপন গৃহে অবস্থান করো এবং জাহেলিয়াতের যুগের মতো সাজসজ্জা সহকারে অবাধে চলাফেরা করো না।’ (সূরা আহজাবঃ আয়াত-৩৩) মহানবী সাঃ পর্দা সম্পর্কে সতর্ক করে এরশাদ করেন, খবরদার! তোমরা মেয়েদের মধ্যে অবাধে যাতায়াত করো না। পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহতায়ালা এরশাদ করেন, ‘আর যখন তাদের (নবীর স্ত্রীদের) কাছে তোমরা কিছু চাইবে, তখন (তারা) তোমাদের দৃষ্টির অন্তরালে হিজাব বা পর্দার ভেতরে অবস্থান করবে, আর তোমরা তাদের কাছে পর্দার বাইরে থেকে চাইবে। তোমাদের এ কাজ তোমাদের অন্তর ও তাদের অন্তরকে কুচিন্তার আবরণ থেকে উত্তমভাবে পাক-পবিত্র রাখার উপায় হবে।’ (সূরা আহজাবঃ আয়াত-৫৩)।
পর্দা সম্ব েআল্লাহপাক পবিত্র কুরআনে নির্দেশ দিয়েছেন, হে মোমিনগণ, যতক্ষণ তোমরা অনুমতি না পাও এবং গৃহের মালিকের কাছ থেকে সালামের জবাব না পাও, ততক্ষণ নিজ গৃহ ছাড়া অপরের গৃহে প্রবেশ করিও না।’ (সূরা নূরঃ আয়াত-২৭)।
হাদিসে আছে, মহিলারা যখন বাইরে যায়, শয়তান তখন তাদের পিছু নেয়। শয়তান ওই মহিলার রূপের ভেতর আকর্ষণ সৃষ্টি করে পুরুষের চোখে তুলে ধরে, আর তখনই উভয়ের জিনার গুনাহ হয়। নবীজি সাঃও এ ব্যাপারে বলেছেন, নারীরা পর্দার আড়ালে থাকার জিনিস। (তিরমিজি)।
তাই যখনই কোনো পর্দাহীন নারীর প্রতি কোনো পুরুষের দৃষ্টিপাত হয়, তখন তার মনে চাঞ্চল্য উপস্থিত হয়। আকর্ষণ সৃষ্টি হয়। তখন তাকে পাওয়ার জন্য নানা ছল-চাতুরীর আশ্রয় গ্রহণ করে থাকে।
বেপর্দা নারীগণের নির্লজ্জ আচরণকে কেন্দ্র করে শয়তান তার অনুসারীদের দ্বারা অশ্লীল, অশালীন ও জঘন্যতম পাপের কাজ করিয়ে নেয়। তোমরা (নারীগণ) নিজগৃহে অবস্থান করো। বর্বর যুগের সৌন্দর্য প্রদানের মতো সৌন্দর্য প্রদর্শন করিও না। (সূরা আহজাবঃ আয়াত-২৩)।
নবী করিম সাঃ বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি তার স্ত্রীর কাছে পর পুরুষের যাতায়াতকে আপত্তিজনক মনে না করে তাকে শরিয়তের ভাষায় ‘দাইউস’ বলা হয়। আর ‘দাইউস’ কখনো বেহেশতে প্রবেশ করতে পারবে না এবং দাইউসকে ৫০০ বছরের দূরত্ব থেকে দোজখে ফেলে দেয়া হবে। দাইউসের জন্য বেহেশত হারাম। (আল হাদিস)
যে স্ত্রী কিংবা পুরুষ একে অন্যের প্রতি ইচ্ছাপূর্বক খারাপ দৃষ্টিতে তাকাবে তার চোখে গরম সিসা ঢেলে দেয়া হবে। (আল হাদিস)
নারীদের সৌন্দর্য গোপন রাখার বস্তু। সৌন্দর্য বলতে নারীদের পুরো শরীর বোঝায়। বেগানা নারী-পুরুষের নির্জনে ওঠাবসা ও চলাফেরা হারাম। কারণ, শয়তান তখন তাদের সঙ্গী হয়। (আল হাদিস, তিরমিজি)
মহান আল্লাহতায়ালা পবিত্র কুরআনে এভাবে সুস্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন যে, নারী চাদর, বোরকা বা দোপাট্টা দ্বারা তাদের বক্ষস্থল ঢেকে রাখে তার একাংশ দিয়ে যেন মাথাও ঢেকে রাখে। এ ছাড়া মাহরাম পুরুষ ছাড়া অন্য কোনো পুরুষের কাছে নারীদের আবরণ উন্মুক্ত রাখতে কড়াকড়িভাবে নিষেধ করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে স্ত্রীলোক যেন তাদের স্বাভাবিক সজ্জার ওপর একটা বাড়তি কাপড় ব্যবহার করে। এর দ্বারাই তারা মাথাসহ শরীরের ঊর্ধ্বাংশ আবৃত করে রাখবে।
আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আরো বলেন, ‘হে নবী! আপনার স্ত্রীগণ, কন্যাগণ এবং মুমিন স্ত্রীগণকে বলে দিন যে তারা যেন চাদরের কিছু অংশ নিজেদের মুখের ওপর টেনে দেয়, এতে তাদের চেনা সহজতর হবে ফলে তাদের কেউ উত্ত্যক্ত করবে না। আল্লাহ ক্ষমাশীল পরম দয়ালু।’ (সূরা আহজাবঃ আয়াত-৫১)
নারীদের পথ চলার সময়ও হাদিসে কিছু বিধিনিষেধ মেনে চলতে বলা হয়েছে। যেমন সুগ িব্যবহার করে বের হবে না, শব্দ করে এমন অলঙ্কার পরিধান করে বের হবে না, পথের কিনারা দিয়ে পথ চলবে এবং পুরুষদের ভিড়ে প্রবেশ করবে না ইত্যাদি। ইমাম জাসসাস বলেন, সুশোভিত রঙিন কারুকার্যখচিত বোরকা পরিধান করে বের হওয়াও নিষিদ্ধ।
মহান আল্লাহতায়ালা পবিত্র কুরআনে ঘোষণা করেন, ‘হে নবী পত্নীগণ! তোমরা অন্য নারীদের মতো নও; যদি তোমরা আল্লাহকে ভয় করো তবে পুরুষদের সাথে কোমল ও আকর্ষণীয় ভঙ্গিতে কথা বলো না, ফলে সেই ব্যক্তি কুবাসনা করে যার অন্তরে ব্যাধি রয়েছে। তোমরা সঙ্গত কথাবার্তা বলবে।’ উম্মাহাতুল মুমিনীনগণের কেউ যদি পরপুরুষের সাথে কথাবার্তা বলতেন, তবে মুখে হাত রেখে বলতেন, যাতে কণ্ঠস্বর পরিবর্তিত হয়ে যায়। (সূরা আহজাবঃ আয়াত-৩২)
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন, ‘আল্লাহর অভিশাপ ওইসব নারীর ওপর যারা কাপড় পরিধান করেও উলঙ্গ থাকে।’ একবার হাফসা বিনতে আবদুর রহমান একটি সূক্ষ্ম দোপাট্টা পরিধান করে হজরত আয়েশা রাঃ-এর গৃহে হাজির হলেন। তখন উম্মুল মুমেনীন হজরত আয়েশা রাঃ তা ছিঁড়ে ফেলে একটা মোটা চাদর দিয়ে তাকে ঢেকে দিলেন।’ (ইমাম মালিক, মুয়াত্তা)।
হজরত ওমর ফারুক রাঃ বলেছেন, ‘নারীদের এমন আঁটসাঁট পোশাক পরিধান করতে দিও না যাতে শরীরের গঠন পরিস্ফুট হয়ে ওঠে।’হজরত উম্মে সালমা থেকে বর্ণিত হয়েছে, ‘আমি এবং মায়মুনা রাসূলুল্লাহ সাঃ-এর কাছে থাকাকালীন হঠাৎ অ সাহাবী আবদুল্লাহ্ ইবনে উম্মে মাকতুম তথায় আগমন করলেন। তিনি আমাদের বললেনঃ ইহার কাছে পর্দা করো। এই ঘটনার সময়কাল ছিল পর্দার আয়াত অবতীর্ণ হওয়ার পর।
উম্মে সালমা আরজ করলেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ সাঃ, সে তো অ সে আমাদের দেখতে পাবে না এবং আমাদের চেনেও না। রাসূলুল্লাহ সাঃ বললেন, তোমরা তো অ নও, তোমরা তাকে দেখছ। (আবু দাউদ, তিরমিজি) হঠাৎ গায়ের মাহরামের প্রতি দৃষ্টি পড়ে গেলে দৃষ্টি সরিয়ে নিতে হবে। তা না হলে দ্বিতীয় দৃষ্টিপাতে জিনা হয়ে যাবে। (মুসলিম শরিফ)।
হজরত আলী রাঃ থেকে বর্ণিত রাসুল সা. বলেন, ‘হে আলী! প্রথম দৃষ্টির পর দ্বিতীয় দৃষ্টি নিক্ষেপ করো না। প্রথমটি ক্ষমার যোগ্য কিন্তু দ্বিতীয়টি নয়।’ এই হাদিসটির তাৎপর্য এই যে, পুরুষ লোকের প্রতি দৃষ্টিপাত করাও গুনাহ। বিশেষ উদ্দেশ্যে একাধিকবার দৃষ্টিপাত করা গুনাহ। ‘প্রত্যেকটি নজরই (খারাপ নিয়তের সহিত) জিনা।’ দৃষ্টির ক্ষেত্রেও পর্দা করা জরুরি।
মহানবী সাঃ বলেছেন, ‘যদি কেউ এমন কোনো নারীর ‘হস্ত’ স্পর্শ করে যার সাথে তার কোনো বৈধ সম্পর্ক নেই তাহলে পরকালে তার হাতের ওপরে জ্বলন্ত অগ্নি রাখা হবে।’ প্রিয় নবী সাঃ আরো বলেছেন, ‘যদি কেউ তোমার বিনা অনুমতিতে তোমার গৃহে উপস্থিত হয়, তারপর তুমি তার ওপর কঙ্কর নিক্ষেপ করে তার চক্ষু কানা করে দাও, তাতে কোনো গোনাহ হবে না। (মুসলিম)
মেয়েদের গৃহে বা অবস্থানস্থলে প্রবেশের সময় অনুমতিসাপেক্ষে প্রবেশ করার জন্য ইসলামে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, নিজ পুত্রসন্তান সাবালক হলেও তাকে অনুমতি নিয়েই মাতার ঘরে প্রবেশ করতে হবে। এ প্রসঙ্গে স্বয়ং আল্লাহ্পাক বলেছেন, ‘যখন তোমাদের পুত্ররা সাবালক হবে তখন অনুমতি সহকারে ঘরে প্রবেশ করবে, যেমন তোমাদের পূর্ববর্তীরা প্রবেশ করত। (সূরা নূরঃ আয়াত-৫৯)।
তা ছাড়া যে গৃহে স্বামী অনুপস্থিত থাকে সে গৃহে গমন করাও অনুচিত। এ প্রসঙ্গে রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন, ‘স্বামীর অনুপস্থিতিতে কোনো নারীর কাছেও যেও না। কারণ, শয়তান তোমাদের যেকোনো একজনের মধ্যে রক্তের মতো প্রবাহিত হয়।’ (তিরমিজি)।
মহানবী সাঃ পর্দা সম্পর্কে সতর্ক করে বলেন, সাবধান! নিভৃতে নারীদের কাছে গমন করো না। একক সাহাবী জিজ্ঞাসা করলেন- ইয়া রাসূলুল্লাহ সাঃ! ‘দেবর’ সম্ব েকী হুকুম? উত্তরে নবীজি সাঃ বললেন, ‘দেবর তো মৃত্যুর সমতুল্য।’ (বোখারী ও মুসলিম শরিফ)
যদি কোনো ব্যক্তি এমন নারীর বিছানায় শয়ন করে, যার স্বামী অন্যত্র গেছে এবং সে তার স্বামীর অনুপস্থিতিতে মনোস্কার্য পূর্ণ করতে ইচ্ছা করে, তবে কিয়ামতের দিন ওই নারী-পুরুষের জন্য একটি করে ‘কালো বিষধর সাপ’ নিযুক্ত করা হবে। সাপটি তাকে পুনঃপুন দংশন করতে থাকবে।’ (তাবরানি)
নারীর মাথার চুল থেকে পায়ের নখ পর্যন্ত সমস্ত শরীর বেগানা পুরুষের নজর থেকে ঢেকে রাখা ফরজ এবং বেগানা পুরুষের পক্ষে সেদিকে নজর করা হারাম।
আসলে পর্দা হচ্ছে আবরণ, যে আবরণ দিয়ে দেহ ও মনকে আচ্ছাদিত করা হয়। বাহ্যিক পর্দা দ্বারা দেহকে আবৃত করতে হয় এবং তাকওয়া বা আল্লাহ্ ভীতির দ্বারা মনকে কন্ট্রোলে ও হিফাজতে রাখতে হয়। এই উভয় প্রকার পদ্ধতি অবলম্বনের দ্বারাই সম্ভব হতে পারে পরিপূর্ণ পর্দা রক্ষা করা। তাই শুধু দেহকে আচ্ছাদিত করে মনকে লাগামহীন ছেড়ে দিলে, পর্দা বজায় থাকবে না। দুটোই প্রয়োজন। অথচ জাহান্নামে তিন বক্তির জন্য নাম রেজিস্ট্রি করা হয়। তা হলো (১) যে বাবা তার সাবালিকা মেয়েকে পর্দায় রাখে না, (২) যে স্বামী তার স্ত্রীকে পর্দার ব্যাপারে কড়াকড়ি হুকুম দেয় না এবং (৩) যে মহিলা পাতলা কাপড় পরে সেজেগুজে বেপর্দায় চলে। ‘সাজসজ্জার স্থানগুলো প্রকাশ না করা মহিলাদের ওপর ওয়াজেব।’ (মারেফুল কুরআন)
এ কারণেই আমাদের পেয়ারা নবী হজরত মুহাম্মদ সাঃ বলেছেন, ‘তোমরা তোমাদের মুখ ও লজ্জাস্থানকে হেফাজত করো। আমি তোমাদের বেহেশতের জামিনদার হবো।’ নারীদের ইজ্জতের মূল্য দিতে গিয়ে মহান আল্লাহ্পাক এরশাদ করেন, ‘যারা সতী নারীদের প্রতি অপবাদ রটনা করে বা ছড়ায় এবং চারজন সাক্ষী হাজির না করে তাদেরকে ৮০টি দোররা লাগাও এবং কখনো তাদের সাক্ষী গ্রহণ করো না, এরা তো সত্যত্যাগী।’ (সূরা নূরঃ আয়াত-৪), তাদের সম্ব েআরো বলা হয়, ‘যারা সতী সরলমনা ও ঈমানদার নারীদের অপবাদ দেয় তারা দুনিয়া ও আখেরাতে অভিশপ্ত এবং তাদের জন্য মহাশাস্তি রয়েছে।’ (সূরা আন-নূরঃ আয়াত-২৩)
নারী এক ভিন্ন সত্তা, অস্তিত্ব, মর্যাদা ও সম্মানের অধিকারী। তার নম্রতা, ভদ্রতা, শালীনতাবোধ ব্যক্তিত্বকে আকর্ষণীয় করে। একজন মুসলিম নারীর আইডেনটিটি তার শালীনতা, পর্দা। পর্দাই তার পরিচয় বহন করে। নারীর মর্যাদা তার পর্দায়। পর্দা নারীর শৃঙ্খল নয়। পর্দা বরং নারীর রক্ষাকবচ। উচ্ছৃঙ্খল বখাটেদের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায় একমাত্র এই পর্দা। যে সমাজে পর্দা নেই সেই সমাজের নারীরাই বেশি নির্যাতনের শিকার।
মন্তব্য চালু নেই