আনারসেই দূর করে বিভিন্ন রোগ!
বাজারে প্রায় সারা বছর পাওয়া যায় রসে ভরা আনারস। মিষ্টি স্বাদের এই ফলটি অনেকেই খুব পছন্দ করেন। অনেকের প্রিয় ফলের তালিকার শীর্ষে থাকে আনারসের নাম। কারো কাছে কাসুন্দির সঙ্গে আনারস মেখে খাওয়া দারুণ স্বাদের অপর নাম।
শুধু স্বাদে নয় আনারসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, বি ও সি। প্রতি ১০০ দেশি জাতের আনারসে জলীয় অংশ ৮৯.৩ গ্রাম, মোট খনিজ পদার্থ ০.৩ গ্রাম, আমিষ ১ গ্রাম, শর্করা ৯.৩ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ১৭ গ্রাম, আয়রন ১.২ মি. গ্রা., ভিটামিন বি১ ০.১৭ মি. গ্রাম., ভিটামিন বি-২ ০.০৫ মি. গ্রা., ভিটামিন সি ২৬ মি. গ্রা., ভিটামিন এ ২১৩৩ আইইউ এবং খাদ্যশক্তি ৪২ কিলোক্যালরি। আনারসের জাত, উৎপাদনের স্থান ও জলবায়ুর ওপর এই পুষ্টিমানের কিছুটা তারতম্য হয়ে থাকে।
বাজারে বেশিরভাগই আসে পাহাড়ি অঞ্চল থেকে। স্থানীয় বাজার, রাস্তার গলিতে, ফলের দোকান বা হকারদের ভ্যানে সুলভে আনারস পাওয়া যায়। আজ জেনে নেব দেহের রোগ দূর করতে অতিপরিচিত এই আনারসের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে।
– আনারসে ভিটামিন এ, বি, সি, ক্যালসিয়াম ও অন্যান্য পুষ্টি উপাদান রয়েছে, যা শরীরে রক্ত জমাট বাঁধতে বাধা দেয়। দেহের শিরা-ধমনির (রক্তবাহী নালি) দেয়ালে রক্ত না জমার জন্য সারাদেহে সঠিকভাবে রক্ত সঞ্চালন ঘটাতে পারে।
– ওভারিয়ান, ব্রেস্ট, লাং, কোলন ও স্কিন ক্যান্সার প্রতিরোধে আনারস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
– আনারসে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকায় জিহ্বা, তালু, দাঁত, মাড়ির যে কোনো অসুখের বিরুদ্ধে এটি প্রতিরোধক অ্যান্টিবায়োটিকের ভূমিকা পালন করে।
– আনারসে ব্যথানাশক উপাদান থাকায় ঠাণ্ডা, জ্বর ও সর্দি ভাব দূর করতে সহায়তা করে।
– আনারসকে একটি কৃমিনাশক ফল বলা চলে। চিকন বা বড় কৃমি দূর করতে খালি পেটে বিশেষ করে সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে আনারস খেলে কৃমি দূর হয়।
– টক-মিষ্টি দুই ধরনের আনারস স্বাদের দিক থেকে যেমন অতুলনীয়, তেমনি এতে রয়েছে মানবদেহের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এনজাইম ব্রোমেলেইন।
– আনারসে প্রচুর পরিমাণে ম্যাঙ্গানিজ নামক খনিজ উপাদান রয়েছে, যা মানবদেহের শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
– শরীরের উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আনারস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
– কোষ্ঠকাঠিন্য ও মর্নিং সিকনেস অর্থাৎ সকালের দুর্বলতা দূর করে। ক্ষুদ্রান্ত্রের জীবাণু ধ্বংসে আনারস অত্যন্ত উপকারী।
মন্তব্য চালু নেই