আনসারুল্লাহ বাংলা টিমই অভিজিতের হত্যাকারী দাবি ডিবির

বাংলাদেশের নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্যরাই ব্লগার অভিজিৎ রায়কে হত্যা করেছে বলে দাবি করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

সোমবার দুপুর পৌনে ১টার দিকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে ডিবির যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম সাংবাদিকদের কাছে এ দাবি করেন।

আনসারুল্লাহ বাংলা টিমকে আল-কায়েদার ক্লোজড-রিলেটিভ উল্লেখ করে মনিরুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশে আল-কায়েদার নেটওয়ার্কের কোন তথ্য নেই। তবে আনসারুল্লাহ বাংলা টিম আল-কায়েদার অনুসারী। আনসারুল্লাহ বাংলা টিম দীর্ঘদিন ধরে আল-কায়েদার সঙ্গে যুক্ত হতে চেষ্টা করছে। তবে যুক্ত হতে পেরেছে কিনা সে ধরনের কোন তথ্য আমাদের কাছে নেই।

তিনি বলেন, অভিজিৎ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ৫ জনের অধিক আসামিকে চিহ্নিত করেছে পুলিশ। তারা সবাই আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্য। এ হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে আরো তদন্ত চলছে।

আল-কায়েদার প্রচারিত ভিডিওটির ব্যাপারে মনিরুল ইসলাম বলেন, আল-কায়েদার প্রচারিত ভিডিওটি সত্যি কিনা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, ২৬ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) রাত সোয়া ৯টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির কাছে বটতলায় ব্লগার ও লেখক অভিজিৎ এবং তার স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যার ওপর হামলা করে দুর্বৃত্তরা। তারা উপর্যুপরি কুপিয়ে অভিজিৎ ও বন্যাকে গুরুতর আহত করে। অভিজিতের মগজ বেরিয়ে যায়।

রাফিদার মাথাতেও চাপাতির আঘাত লাগে এবং তার বাম হাতের আঙ্গুল বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে রাত ১০টা ২৫ মিনিটে রক্তক্ষরণজনিত কারণে অভিজিৎ মারা যান। সেখান থেকে ওইদিন রাত আড়াইটার দিকে বন্যাকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

অমর একুশে গ্রন্থমেলা থেকে বাসায় ফেরার পথে তারা এ হামলার শিকার হন বলে পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। তারা দুইজনই যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। এ হত্যাকাণ্ডের পরদিন শাহবাগ থানায় অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন অভিজিতের বাবা শিক্ষাবিদ ড. অজয় রায়।



মন্তব্য চালু নেই