নীরব দর্শকের ভূমিকায় প্রশাসন

আনন্দ মেলার আড়ালে চলছে নগ্ন নৃত্য ও জুয়ার আসর

গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর আনন্দ মেলার আড়ালে চলছে নগ্ন নৃত্য ও জুয়ার আসর। আর নীরব দর্শকের ভূমিকায় আছে প্রশাসন। সাদুল্যাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়া লতিফুল ইসলাম নগ্ন নৃত্য জুয়া-হাউজি বন্ধ করার কথা দিয়েও তিনি কথা রাখলেন না। সাদুল্যাপুর উপজেলার বকশিগঞ্জ বাজারের আমতলী মোড়ে গত কয়েকদিন ধরে আনন্দ মেলার আড়ালে যাত্রার নামে আশ্লীল নগ্ন নৃত্য জুয়া-হাউজি ও লাকী কূপন (লটারী) অবাধে চলছে।

স্থানীয় অদু মিয়া, আবদুল কাফি সরকার, সেলিম মিয়া ও সাদেকের নেতৃত্বে সংঘবদ্ধ চক্র এ মেলার আয়োজন করে। এসব বন্ধের দাবী জানিয়ে স্থানীয় এলাকাবাসীসহ সাদুল্যাপুর প্রেসক্লাবের কর্মরত সাংবাদিকরা ওসিকে বারবার বলে আসলেও তিনি কোন পদক্ষেপ নেননি।

এবিষয়ে প্রেসক্লাবের সভাপতি তাজুল ইসলাম রেজা ও সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান মন্ডল পলাশসহ সাংবাদিকরা থানায় গিয়ে ওসিকে যাত্রা জুয়া-হাউজি বন্ধের দাবী জানান।

এ সময় ওসি জিয়া লতিফুল ইসলাম উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে জুয়া-হাউজি বন্ধ করার প্রতিশ্রুতি দেন। অথচ তিনি যাত্রা জুয়া-হাউজি বন্ধে পদক্ষেপ না নিয়ে উল্টো টহল পুলিশ পাঠান যাতে আয়োজকসহ জুয়া-হাউজিতে আসা লোকজনের কোন সমস্যা না হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আয়োজক ও স্থানীয় লোকজন জানান, বুধবার রাতে থানার জনৈক্য এসআইএর নেতৃত্বে পুলিশ সদস্যরা ওই এলাকার আশপাশে ডিউটি করেন। পরে রাত সাড়ে ১২টার দিকে পুলিশ সদস্যরা হাউজি প্যান্ডেলের ভিতরে বসে হাউজি খেলায় অংশ নেয়। রাত আড়াইটার দিকে ওই এসআই নির্দিষ্ট পরিমানের বখড়া নিয়ে চলে যান।jatra

এ বিষয়ে সাদুল্যাপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান মন্ডল পলাশ ওসির মুঠোফোনে জুয়া-হাউজি বন্ধের বিষয়টি নিয়ে পুনঃরায় কথা বলেন, এ সময় ওসি সাফভাবে জানিয়ে দেন যে, আপনারা এসপি সাহেবকে আমার বিরুদ্ধে বলেছেন, আমি নাকি যাত্রা জুয়া বন্ধ করতেছি না। ঠিক আছে আপনারা যখন এসপি সাহেবকে বলেছেন যাত্রা জুয়া চলবেই।

এদিকে, ওসির এমন কথায় স্থানীয় সাংবাদিকদের ক্ষোভ বিরাজ করছে। অপরদিকে, যাত্রা জুয়া-হাউজি ও লটারীর প্রচারের মাইকের শব্দে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন এলাকাবাসী। এলাকাবাসী ও সুশিল সমাজ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, অবৈধ কার্যকলাপের বিষয়ে ওসিকে জানালে তিনি বলেন, এসব নাকি তার জানা নেই, খোঁজ নিয়ে দেখতেছি ইত্যাদি। বরং ওসি এসব অবৈধ কার্যকলাপের বিস্তার লাভ করে প্রতিদিনেই মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার আহসান হাবীব বলেন, যাত্রা ও জুয়া বন্ধ করতে থানায় পুলিশ চেয়েও তিনি পাচ্ছেন না। বিষয়টি নিয়ে তিনি জেলা প্রশাসকের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানান।



মন্তব্য চালু নেই