আদিবাসীদের দুরবস্থার জন্য ক্ষমতাসীনরাই দায়ী
আদিবাসীরা দেশের সামগ্রিক জীবনধারায় জড়িয়ে থাকলেও বাস্তবিক অর্থে তারা বিচ্ছিন্নভাবে বসবাস করছে। তাদের অস্তিত্ব প্রায় বিলুপ্তির পথে। আদিবাসীদের এ দুরবস্থার জন্য ক্ষমতাসীনরাই দায়ী বলে অভিযোগ করেছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সভাপতি সন্তু লারমা।
রোববার (৭ আগস্ট) সিরডাপ মিলনায়তনে আদিবাসীদের শিক্ষা, ভূমি ও জীবনের অধিকার বিষয়ক সংলাপের প্রথম পর্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, ‘আদিবাসীরা সবসময়ই বঞ্চিত। সমাজব্যবস্থার বাস্তব আলোকে এ অবস্থার জন্য সরকার দায়ী। আদিবাসীদের প্রতি নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি এর প্রধান কারণ। বরাবরই আমাদের বিচ্ছিন্নভাবে দেখা হয়। এ বাস্তবতা আমরা অনুভব করি।’
পার্বত্য অঞ্চলে সেনাশাসনের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত পার্বত্য অঞ্চলগুলো সেনাবাহিনী দ্বারা শাসিত। কিন্তু সংসদে এ নিয়ে কোনো আলোচনা হয় না। কেউ এ বিষয়টি সংসদে উপস্থাপনও করে না। এভাবে চলতে থাকলে আদিবাসীদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার।’
সন্তু লারমা বলেন, ‘বাংলাদেশ অনেক ক্ষেত্রে এগিয়ে গেলেও শাসকগোষ্ঠী আদিবাসীদের প্রতি আন্তরিক নয়। ফলে আদিবাসীরা নিরাপত্তাহীনতায় জীবনযাপন করছে। ৩০ লাখ আদিবাসী সমাজব্যবস্থার সাথে একাত্ম হতে চাইলেও তা পারছেন না।’ আদিবাসী সমাজের নেতৃত্ব শক্তিশালী করার আহ্বান জানান তিনি।
প্রফেসর ড. মেসবাহ কামালের সঞ্চালনায় সংলাপে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য মৃণাল কান্তি দাস, নাজমুল হক প্রধান, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, ফজলে হোসেন বাদশা, মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক প্রমুখ।
মন্তব্য চালু নেই