আত্মহননের চেষ্টার পর হ্যাপি যা বললেন

বুধবার রাতে ৩০টি ঘুমের বড়ি খেয়ে আত্মহননের চেষ্টা করেন বলে নিজেই স্বীকার করেছেন উঠতি চিত্র নায়িকা নাজনীন আক্তার হ্যাপি। কারণ হিসেবে তিনি রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘যে জীবনে রুবেলকেই পেলাম না সে জীবন রেখে লাভ কি? তাই আমি নিজেকে শেষ করে দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু পারলাম না।’

হ্যাপি বলেন, ‘আমার জীবনের চেয়েও দামী রুবেল। সেই রুবেলই আজ আমার কাছ থেকে অনেক দূরে। তাকে তো আর এই জীবনে পাব না। তাই এ দুনিয়া থেকে চলে যেতে চেয়েছি। অন্তত তার মুখতো আর দেখতে হবে না।’

তিনি বলেন, ‘বুধবার রাত ৯টার দিকে মাইনাস ৭.৫ মিলিগ্রামের ৩০টি ঘুমের বড়ি দুই ভাগে ভাগ করে ১৫টি করে খেয়ে ফেলি। কিছুক্ষণ পরই আমার মাথা ঘোরা শুরু করে। এরপর আম্মুকে বলি আমার মাথা ঘুরছে। আর কিছু বলতে পারিনি। গভীর রাতে মুখের ভেতর নল ঢূকিয়ে যখন ডাক্তাররা ওয়াস করছিল, তখন আমার হুশ ফিরে আসে। ভোরের দিকে এক প্রকার গোপনেই হাসপাতাল ছেড়ে বাসায় চলে আসি। এর আগে আমাকে আরো তিনটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কোন ভর্তি করেনি।’

কথা বলার সময় হ্যাপি বলেন, ‘এখন মোটামুটি সুস্থ আছি। চিকিৎসকরা আমাকে রেস্টে থাকতে বলেছেন। এমনকি কারো সঙ্গে কথা বলতেও নিষেধ করেছেন।’

কেন এরকম করতে গেলেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ জীবনে শুধু একজনকেই ভাল বেসেছি। বাবা-মাকে যতটা বুঝতাম না তার চেয়েও বেশি বুঝতাম রুবেলকে। তার জন্যই আমার জীবনের সব হাসি-কান্না। কিন্তু রুবেল তো বুঝল না। তাই তার জন্যই জীবনটাকে বিসর্জন দিতে চেয়েছি। তা তো হলো না! তবু ভাবি কি হবে বেঁচে থেকে। কার জন্য বাঁচব?’

সবশেষে তিনি বলেন, জীবনটা তো শেষই আমার। সামনে কি করবো চিন্তা করতে পারছি না। বাবা-মা অনেক কষ্ট করেছেন। এখনও করছেন। জানিনা তাদের এ কষ্টের ঋণ পরিশোধ করতে পারব কি-না। আবার তাদের জন্যও একটু বাঁচার সাধ জাগে। আম্মু অনেক কেঁদেছেন। ভাই-বোন এবং আব্বুও কেঁদেছেন। তাদের জন্য অনেক খারাপ লেগেছে।



মন্তব্য চালু নেই