আত্মসমর্পণের পর আলোচনা : ইনু

তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, ‘আগুন-সন্ত্রাসীদের চূড়ান্তভাবে পরাজিত ও আত্মসমর্পণে বাধ্য করার পরই রাজনীতির অন্যান্য বিষয় নিয়ে আলোচনা হতে পারে।’

সোমবার সন্ধ্যায় জাসদ কার্যালয়ে দলের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের লক্ষ্যে গঠিত গণআন্দোলনের অন্যতম সংগঠক কাজী আরেফের স্মরণসভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। দলের কেন্দ্রীয় কমিটি এ স্মরণসভার আয়োজন করে।

বুদ্ধিজীবীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘যারা সংলাপের জন্য তদবির করছেন, তাদের উচিৎ সবার আগে বেগম খালেদা জিয়ার কাছে গিয়ে আগুন-সন্ত্রাস বন্ধ করার জন্য তদবির করা।’

জাসদ সভাপতি ও তথ্যমন্ত্রী কাজী আরেফকে মহান স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম সংগঠক হিসেবে তার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।

মন্ত্রী বলেন, ‘পঁচাত্তর সালের আগস্ট মাসে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা এবং কর্নেল তাহেরকে ফাঁসিতে ঝুঁলিয়ে হত্যার পর আওয়ামী লীগ-জাসদ-সিপিবি তথা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে কোণঠাসা করে মোস্তাক-জিয়া জাতির কাঁধে মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী রাজনীতি আর পাকিস্তানী ভূত চাপিয়ে দিয়েছিল। এসময় ‘মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ-বিপক্ষে’র রাজনৈতিক তত্ত্বের ভিত্তি সুদৃঢ় করাতে প্রয়াত কাজী আরেফের মৌলিক রাজনৈতিক অবদান ছিল।

সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন, সংসদ সদস্য মাইনুদ্দিন খান বাদল, সংসদ সদস্য শিরীন আখতার, সংসদ সদস্য রেজাউল করিম তানসেন, জাসদের সাধারণ সম্পাদক শরীফ নুরুল আম্বিয়া, শওকত রায়হান, মুনির উদ্দিন আহমেদ, ওবায়দুর রহমান চুন্নু, মঞ্জুর আহমেদ প্রমুখ।

উল্লেখ্য, কাজী আরেফ ১৯৯৯ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি কুষ্টিয়ার কালীদাসপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে সন্ত্রাসবিরোধী এক সভায় বক্তব্য দেয়ার সময় সন্ত্রাসীদের বোমাহামলায় নিহত হন।



মন্তব্য চালু নেই