আতিউরকে তলব করবে সিআইডি
বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় সদ্য পদত্যাগ করা গভর্নর আতিউর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে পুলিশের ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট (সিআইডি)। মতিঝিল থানায় দায়ের করা বাংলাদেশ ব্যাংকের মামলা ইতোমধ্যে সিআইডিতে স্থানান্তর করা হয়েছে। মামলাটি তদন্ত করবে সিআইডির অরগানাইজড ক্রাইম ইউনিট।
তবে তদন্তকারী কর্মকর্তা নিয়োগ না দিলেও ইতোমধ্যে ছায়া তদন্তও শুরু করে দিয়েছে সিআইডি। শুধু তাই নয় রিজার্ভ চুরির বিষয়ে সদ্য পদ থেকে সরিয়ে দেয়া দুই ডেপুটি গভর্নর আবুল কাশেম ও নাজনীন সুলতানাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করবে সিআইডি। সিআইডির একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মঙ্গলবার দুপুরে মানি লন্ডারিং এবং তথ্য যোগাযোগ ও প্রযুক্তি আইনে মতিঝিল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের যুগ্ম পরিচালক জোবায়ের বিন হুদা মানি লন্ডারিং এবং তথ্য যোগাযোগ ও প্রযুক্তি আইনে মামলা দায়ের করেন (মামলা নং ১০)। এরপরই মামলাটি সিআইডিতে পাঠানো হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রিজার্ভ চুরির ঘটনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের কোনো কর্মকর্তা জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনা ঘোষণা করেছেন। ইতোমধ্যে সাবেক গভর্নর ফরাসউদ্দিনকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি রিজার্ভ চুরির বিষয়ে তদন্ত করবে।
সিআইডির বিশ্বস্ত একটি সূত্র জানায়, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি ভাবমূর্তিতে আঘাত হিসেবে দেখছে সরকার। সেজন্যই নিরপেক্ষভাবে ও দ্রুত মামলার তদন্ত করতে সরকারের পক্ষ থেকে সিআইডিকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
দায়ের করা মামলার স্বার্থে বাংলাদেশ ব্যাংকের সদ্য পদত্যাগী গভর্নর আতিউর রহমান ও সরিয়ে দেয়া দুই বাংলাদেশ ব্যাংকের দুই ডেপুটি গভর্নর আবুল কাশেম এবং নাজনীন সুলতানাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। পাশাপাশি লিস্টেট সন্দেহভাজন কর্মকর্তাদেরও জিজ্ঞাসাবাদের আওতায় নিয়ে আসা হবে।
শুধু তাই নয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নির্দেশনা ছাড়া বাংলাদেশের ব্যাংকের কোনো কর্মকর্তা যেন দেশ ত্যাগ করতে না পারেন সেজন্যও করা হচ্ছে নজরদারি। তারা কে কখন কোথায় যাচ্ছেন কি করছেন তা সুক্ষ্মভাবে দেখা হচ্ছে।
ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট (সিআইডি) এর অরগানইজড ক্রাইম বিভাগের বিশেষ পুলিশ সুপার মীর্জা আব্দুল্লাহেল বাকী। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ লুটের ঘটনায় দায়ের করা মামলাটি সিআইডি তদন্ত করবে। সিআইডির অরগানাইজড ক্রাইম ইউনিট এ মামলা তদন্ত করবে। যদিও এখনো তদন্তকারী কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া হয়নি।
মামলায় পদত্যাগী গভর্নর ও সরিয়ে দেয়া ডেপুটি গভর্নরদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই মূহুর্তে এ ধরনের কথা বলা সত্যিই কঠিন। তবে এতোটুকু বলতে পারি, আমরা মামলার তদন্ত খুব দ্রুত শুরু করছি। আমরা এখন সব ধরনের নথিপত্র সংগ্রহ করছি।
মামলার স্বার্থে সন্দেহভাজনদের ও যাকেই প্রয়োজন মনে হবে তাকেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। প্রয়োজন পড়লে অবশ্যই পদত্যাগী গভর্নর ও সরিয়ে দেয়া ডেপুটি গভর্নরদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
মন্তব্য চালু নেই