আজাব থেকে মুক্তি লাভে করণীয় ও বর্জনীয়
পরকালে মানুষের চিরস্থায়ী জীবনের চূড়ান্ত ফয়সালার বিচারক হবে স্বয়ং আল্লাহ তাআলা। যে দিন মানুষের আমল অনুযায়ী ফয়সালা প্রদান করা হবে। যারা নেককার বান্দা হবে তারা ডান হাতে আমলনামা পাবে এবং জান্নাতে স্থান পাবে।
আর যারা প্রতিদান দিবসে আল্লাহ তাআলার দরবারে আসামী হয়ে যাবে। দুনিয়ার কোনো কাজের হিসাব দিতে পারবে না। আল্লাহ তাআলা তাদের বাম হাতে আমলনামা ধরিয়ে দিবে। তারা হবে জাহান্নামী।
দুনিয়ার কোনো মানুষই চাইবে না যে, তারা অপরাধী সাব্যস্ত হয়ে জাহান্নামে পতিত হোক। তাই পরকালের প্রতিদান দিবসে সফলতা লাভে কিছু কাজ মেনে চলতে হবে। আর কিছু কাজ থেকে নিজেদেরকে বিরত রাখতে হবে। যা তুলে ধরা হলো-
যা পালন করতে হবে
ক. নিয়মিত নামাজ-আদায় করতে হবে;
খ. দুনিয়াতে চলাফেরায় বেশি বেশি সদকা- করতে হবে।
গ. তারতিলের সঙ্গে কুরআন তিলাওয়াত করতে হবে।
ঘ. সকাল-সন্ধ্যায় বেশি বেশি তাসবিহ পড়তে হবে।
যা করা যাবে না
ক. কখনো মিথ্যা-কথা বলা যাবে না;
খ. অপরের সম্পদ (হক) অন্যায়ভাবে আত্মসাৎ করা যাবে না।
গ. কোনোভাবেই চোগলখুরী করা যাবে না। এক জনের দোষ অন্যের কাছে বলে বেড়ান যাবে না।
ঘ. পেশাবের ছিঁটে-ফোঁটা থেকে বেঁচে থাকাতে হবে। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন- পেশাবের ছিটা হতে বেঁচে থাক। কেননা অধিকাংশ মানুষের কবরের আজাব হবে পেশাবের ছিটার জন্য। (নাউজুবিল্লাহ)
পরিশেষে…
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে পরকালের চিরস্থায়ী জীবনের আজাব থেকে বেঁচে থেকে সফলতা লাভে উল্লেখিত করণীয় ও বর্জনীয় বিষয়গুলো মেনে চলার তাওফিক দান করুন। আমিন।
মন্তব্য চালু নেই