আজও মানুষকে আলোর পথ দেখায় স্বামীজির এই আদর্শগুলি

আধুনিক ভারতবর্ষের আইকন ছিলেন স্বামী বিবেকানন্দ। প্রাচ্য- পাশ্চাত্যের সমন্বয়ে যে চিন্তার কাঠামো তৈরি হয় তার অন্যতম কারিগর এবং চিন্তাসূত্রকার তিনি। নেতাজী সুভাষ বসু থেকে সকল বিপ্লবীদের প্রেরণার বাতিঘর ছিলেন তিনি।

তার জন্মদিন ভারতে যুবদিবস হিসেবে পালিত। তরুণ এবং যুবসম্প্রদায়ের জাগরণে তার অবদান অনন্য সাধারণ। আজ ভারতীয় অধ্যাত্মবাদ প্রচারের চিন্তানায়ক, যুগনায়ক স্বামী বিবেকানন্দের ১৫৪ তম জন্মদিন।

একবার এক ব্রিটিশ তার কাছে জানতে চান, কেন তিনি ‘জেন্টলম্যান’দের মতো পোশাক পরেন না৷ হেসে জবাব দিয়েছিলেন, “তোমাদের জেন্টলম্যান তৈরি হয় দর্জিদের কাছে, আমাদের সংস্কৃতিতে জেন্টলম্যান তৈরি হয় চরিত্র দিয়ে”৷ এমনই

ছিলেন স্বামীজি৷ যে বিশ্বাসের বীজ স্বামী বিবেকানন্দ এই উপমহাদেশে একদিন পুঁতেছিলেন৷ আজ তা মহীরূহ৷ আজও মানুষকে বাঁচতে শেখায় তার এই আদর্শগুলি৷

১) নিজের উপরে বিশ্বাস না এলে ঈশ্বরের উপর বিশ্বাস আসে না৷

২) ওঠ, জাগো, যতদিন না লক্ষ্যস্থলে পৌঁছাচ্ছো, থেমো না৷

৩) মন ও যুক্তির মধ্যে দ্বন্দ্ব হলে, নিজের মনকেই অনুসরণ কর৷

৩) জগতে যদি কিছু পাপ থাকে, তবে দুর্বলতাই সেই পাপ৷ সর্বপ্রকার দুর্বলতাকে ত্যাগ কর৷

৪) দর্শনবর্জিত ধর্ম কুসংস্কারে গিয়ে দাঁড়ায়, আবার ধর্মবর্জিত দর্শন শুধু নাস্তিকতায় পরিণত হয়৷

৫) অনেক শক্তিমানই হাল ছেড়ে দেয়৷ হার মানে বহু দ্রুতগামী৷ জীবনযুদ্ধে তারাই জেতে, যারা ভাবে জিতবই আমি৷

৬) সারাদিন চলার পথে যদি কোনও সমস্যার সম্মুখীন না হন, তাহলে বুঝবেন আপনি ভুল পথে চলছেন৷

৭) কখনও ভাবিও না আত্মার পক্ষে কিছু অসম্ভব৷ এরূপ বলা ভয়ানক নাস্তিকতা৷

৮) পরোপকারই জীবন, পরহিত চেষ্টার অভাবই মৃত্যু৷

৯) কেবল শারীরিক সাহায্য দ্বারা জগতের দুঃখ দূর করা যায় না৷ যতদিন না মানুষের প্রকৃতি পরিবর্তিত হচ্ছে, ততদিন এই শারীরিক অভাবগুলি সর্বদাই আসবে এবং দুঃখ অনুভূত হবেই হবে৷

১০) কেউ কাউকে শেখাতে পারে না৷ ‘শেখাচ্ছি’ মনে করেই শিক্ষক সব মাটি করে৷

১১) মানুষ মূর্খের মত মনে করে, স্বার্থপর উপায়ে সে নিজেকে সুখী করিতে পারে৷ বহুকাল চেষ্টার পর অবশেষে বুঝতে পারে-প্রকৃত সুখ স্বার্থপরতার নাশে৷

১২) জীবে প্রেম করে যেইজন সেই জন সেবিছে ঈশ্বর৷



মন্তব্য চালু নেই