প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা কারো সঙ্গে যুদ্ধ করতে চাই না, শান্তি চাই। তবে কেউ আঘাত করতে এলে প্রতিঘাত করার অধিকার ও সক্ষমতা আমাদের আছে। এ জন্য প্রতিরক্ষা খাতকে আরো আধুনিকায়নের জন্য কাজ করছে সরকার।

রোববার সকালে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় পরিদর্শনে এসে কর্মকর্তাদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব বলেন। তিনি বলেন, প্রযুক্তি ব্যবহারে জনগণকে সক্ষম করতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। সেই সঙ্গে প্রতিরক্ষা বাহিনীকেও আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে সক্ষম করে তোলার চেষ্টা করছে সরকার।

বাংলাদেশ মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্রসীমা নিয়ে যে বিজয় লাভ করেছে তা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সমুদ্রসীমা রক্ষার পাশাপাশি সমুদ্র সম্পদের অধিকার রক্ষায় প্রতিরক্ষা বিভাগকে আরো আধুনিকায়ন করা খুবই জরুরি। তিনি বলেন, আধুনিক বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারলে এ দেশ সামনে এগিয়ে যাবে এবং সে লক্ষ্যেই কাজ করছে সরকার।

মুক্তিযুদ্ধের বিজয় প্রসঙ্গ তুলে শেখ হাসিনা বলেন, বাঙালি জাতি যুদ্ধবিজয়ী জাতি। আমরা যুদ্ধ করে যেভাবে দেশকে স্বাধীন করেছি, ঠিক সেভাবেই লড়াই করে নিজেদের আত্মমর্যাদাশীল জাতি হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। এ জন্য কারো কাছে ভিক্ষার হাত পেতে নয়, কাজের মাধ্যমে বাংলাদেশ বিশ্বের কাছে হবে আত্মমর্যাদাশীল একটি দেশ।

দেশের সম্পদ সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারলে আত্মমর্যাদাশীল জাতি প্রতিষ্ঠা হবে। এ জন্য চাই সুষ্ঠু পরিকল্পনা। সবাই আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করলে দেশ সামনের দিকে আরো এগিয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ২০২১ সালের মধ্যেই বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে।

বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে উন্নত দেশ হবে আশা করে তিনি আরো বলেন, যত বাধাই আসুক, প্রাকৃতিক ও মনুষ্যসৃষ্ট দুর্যোগ মোকাবিলা করেই বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। এ জন্য সবাইকে সঠিক সময়ে সঠিক কাজটি করার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, একটি দল ক্ষমতায় আসে পাঁচ বছরের জন্য। এই সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে অনেক কাজই বাস্তবায়ন করা যায় না। এই জন্য সময়ের সুষ্ঠু ব্যবহার করতে হবে।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় পরিদর্শনের সময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিরক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিক ও প্রতিরক্ষা বাহিনীর কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী সেখানে এক ঘণ্টা অবস্থান করে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মন্ত্রণালয় ত্যাগ করেন।