বিবিসি বাংলার প্রতিবেদন
‘আগে আটক পরে মামলা’
বাংলাদেশে সরকারি দল আওয়ামী লীগের এক নেতা আরজু মিয়াকে হত্যার অভিযোগে র্যাবের এক সিনিয়র কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করার পর নিহতের ভাই বলছেন, “আগে আটক করে তারপর তাকে একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে”।
ঢাকার হাজারীবাগ এলাকায় ছাত্রলীগ নেতা আরজু মিয়াকে গত ১৭ আগস্ট এক হত্যা মামলায় র্যাব আটক করে নিয়ে যাওয়ার পর তার মৃত্যু হয়। র্যাবের পক্ষ থেকে কথিত `বন্দুকযুদ্ধে’র ব্যাখ্যা দেওয়া হলেও, আরজু মিয়ার ভাই মাসুদ রানা বলেছেন, “আরজুকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে”।
তিনি বলছেন, সেই অভিযোগে মামলা করতে গিয়ে তিনি প্রথমে পুলিশের কাছ থেকে সহযোগিতা পাননি। পরে তিনি নালিশি মামলাটি করেন।
নালিশি মামলায় আসামি করা হয়েছে র্যাব-২-এর পরিচালক লে. কর্নেল মাসুদ রানা, ডিএডি শাহিদুর রহমান, পুলিশের পরিদর্শক ওয়াহিদ ও র্যাবের সোর্স রতনকে। মামলায় ছয়জনকে সাক্ষী করা হয়েছে। এ মামলার বিষয়ে ২৫ আগস্ট পরবর্তী আদেশ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আদালত।
নিহত আরজু মিয়া ছাত্রলীগের হাজারীবাগ থানার সভাপতি এবং ওই এলাকায় ১৬ বছরের এক কিশোরকে চুরির অভিযোগে পিটিয়ে মেরে ফেলার ঘটনায় তাকে প্রধান আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছিল।
সূত্র : বিবিসি বাংলা।
মন্তব্য চালু নেই