আগের রাতে শ্বশুর, পরের রাতে জামাই’র মৃত্যু

সরকার দুলাল মাহবুব, রাজশাহী থেকে : রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার ভবানীগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের নেতা গোলাম মোস্তফার শ্বশুর মোবারক চৌধুরী বাধ্যক্যজনিত কারণে মঙ্গলবার রাতে ইন্তেকাল করেন। রাতে সেই সংবাদ শুনে বুধবার ভোরে পাশের নওগাঁ জেলার পাশ্ববর্তী আত্রাই উপজেলার দারিয়াগাতি গ্রামে যান গোলাম মোস্তফা।

বুধবার সারাদিন শ্বশুরের দাফন সম্পন্ন হয়। ওই দিবাগত রাতে জামাই গোলাম মোস্তফাও হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। পরপর শ্বশুর-জামাইয়ের মৃত্যুতে ওই এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গোলাম মোস্তফার শ্বশুর দারিয়াগাতি গ্রামের মোবারক চৌধুরী মঙ্গলবার রাতে মারা যান। ওই মৃত্যু সংবাদ শুনে গোলাম মোস্তাফা স্বপরিবারে দারিয়াগাতি গ্রামে গিয়ে তার শ্বশুরের দাফন পর্ব শেষ করে সেখানেই থেকে যান। পরে বুধবার দিবাগত রাতে সেহরী খাওয়ার জন্য তিনি ঘুম থকে ওঠেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। এ সময় পরিবারের সদস্যরা তাকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই গোলাম মোস্তফার মারা যায়।

বৃহস্পতিবার বেলা দুইটার সময় ভবানীগঞ্জ পৌরসভার সূর্যপাড়া মহল্লার ঈদগাহ ময়দানে জানাযা শেষে তার পিতা মরহুম জাবেদ আলী সরদারের কবরের পাশে তাকে দাফন করা হয়। তার জানাযায় মানুষের ঢল নামে এবং ঈদগাহ মাঠ কানায় কানায় পূর্ন হয়ে যায়। উপজেলা চেয়ারম্যান জাকিরুল ইসলাম সান্টু, ভবানীগঞ্জ পৌর মেয়র আব্দুল মালেক ও ভবানীগঞ্জ কলেজের অধ্যক্ষ হাতেম আলীসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ জানাযায় উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে মরহুমের অকাল মৃত্যুতে তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা ও তার পরিবারের সদস্যদের প্রতি গবীর সমবেদনা জানিয়েছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ইঞ্জি: এনামুল হক, উপজেলা চেয়ারম্যান জাকিরুল ইসলাম সান্টু, পৌর মেয়র আব্দুল মালেক, ভবানীগঞ্জ বনিক সমিতির সভাপতি জাহাঙ্গির আলম হেলালসহ উপজেলা আওয়ামী লীগ ও ভবানীগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীবৃন্দ।



মন্তব্য চালু নেই