আগামীকালই বাংলাদেশের সিরিজ জয় ?

সাকিবের বলে সাঈদ আজমল এলবিডব্লিউ হতেই জয়টা নিশ্চিত হয়ে যায় বাংলাদেশের। যদিও রিভিউ নিয়েছিলেন আজমল। তবে ‘হক আই’ দেখে থার্ড আম্পায়ারও জানিয়ে দিলেন, ‘আজমল তুমি আউট’। ১৬ বছর পর পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে জয় টাইগারদের। তখন তো বাঁধভাঙ্গা উল্লাসে মেতে ওঠার কথা বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের। কিন্তু তাদের দেখে তো মনে হলো পাকিস্তান নয়, জিম্বাবুয়ের সঙ্গে জিতেছে তারা! কোনো উল্লাস ছাড়াই সাকিবসহ সবাই আম্পায়ার ও খেলোয়াড়দের সঙ্গে ‘হ্যান্ডশেক’ করছেন।

পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৬ বছর পর জিতেও কোনো উদযাপন নেই? কারণ কী? তবে কী উদযাপনটা সিরিজ জয়ের জন্য তুলে রাখলেন সাকিব-তামিম-মুশফিকরা? সিরিজ শুরুর আগে সাকিবের কথা তো তা-ই মনে করিয়ে দিচ্ছে। সিরিজ শুরুর আগে সাকিব ঘোষণা দিয়েছিলেন, এবারের সিরিজে বাংলাদেশই ফেবারিট। পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জয়ের এটাই সুবর্ণ সুযোগ।

গতকালের ম্যাচটিও বলছে, সাকিব একচুল মিথ্যা বলেননি। পাকিস্তানের বোলারদের পিটিয়ে নিজেদের ওয়ানডে ইতিহাসের সর্বোচ্চ স্কোর গড়ল বাংলাদেশ, ৩২৯/৬। প্রথমবারের মতো একই ইনিংসে দুই ব্যাটসম্যানের সেঞ্চুরি, যেকোনো উইকেটে সর্বোচ্চ সংগ্রহ। জবাবে পাকিস্তান অলআউট ২৫০ রানেই। ৭৯ রানের বিশাল জয়ে তিন ম্যাচ সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে বাংলাদেশ।

টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার পর একমাত্র পাকিস্তানকেই হারানো বাকি ছিল বাংলাদেশের। গতকাল টাইগারদের সে লক্ষ্য পূরণ হয়েছে। এবার প্রথমবারের মতো পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জয়ের হাতছানি টাইগারদের সামনে। আর সে লক্ষ্যেই রোববার সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে পাকিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নামতে যাচ্ছে সাকিব-তামিম-মুশফিকরা।

প্রথম দিনের দুর্দান্ত জয়ের পর শনিবার অবশ্য অনুশীলন করেনি বাংলাদেশ দল। অনুশীলন করেনি হেরে ‘বিধ্বস্ত’ পাকিস্তান দলও।

আগামীকালের ম্যাচে ফিরছেন বাংলাদেশের নিয়মিত অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে স্লো ওভার রেটের কারণে এক ম্যাচ নিষিদ্ধ ছিলেন টাইগার দলপতি। তাই পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডে মাশরাফির বদলে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তার ডেপুটি সাকিব। আর অধিনায়কত্বের সুযোগ পেয়েই ইতিহাসের অংশ হয়ে গেছেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার।

প্রথম ম্যাচে ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং তিন বিভাগেই সমানতালে পারফর্ম করেছে বাংলাদেশ। দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করেছেন তামিম ইকবাল। মুশফিক তো বাংলাদেশের তৃতীয় দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ডও গড়েছেন। দারুণ বোলিং করেছেন পেসার তাসকিন আহমেদ, স্পিনার আরাফাত সানি। দুজনই তিনটি করে উইকেট নেন।

অপরদিকে পাকিস্তান প্রস্তুতি ম্যাচ এবং পরে প্রথম ওয়ানডে হেরে এখন অনেকটাই ‘ব্যাকফুটে’ চলে গেছে। মানসিকভাবেও এখন নাজেহাল অবস্থা তাদের। দীর্ঘদিন পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরা সাঈদ আজমল তো গতকাল পাত্তাই পায়নি বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের সামনে। ১০ ওভার বল করে ৭৪ রান দিয়ে কোনো উইকেট পাননি তিনি। প্রথম ম্যাচের পারফরম্যান্স ধরে রেখে আগামীকাল সিরিজ জয় নিশ্চিত করতে পারবে বাংলাদেশ? দেখা যাক কী হয়!



মন্তব্য চালু নেই