আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার আসামি রউফের মৃত্যু
আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় অভিযুক্ত মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার (অব.) আব্দুর রউফ মারা গেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহিররজিউন)।
শুক্রবার ভোর ৫টায় রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত প্রথম জানাজার জন্য তার মরদেহটি কিশোরগঞ্জের ভৈরবে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
এরপর সেখানে জানাজা শেষে মরদেহটি ঢাকার নিউ সার্কুলার রোডস্থ সিদ্ধেশ্বরীতে তার প্রতিষ্ঠিত এনজিও পপুলেশন সার্ভিসেস অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টার (পিএসটিসি) নিয়ে আসা হবে।
বিকেল সাড়ে ৫টায় তার সহকর্মীদের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে মরদেহটি মহাখালীর ডিওএইচএস মসজিদে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে বাদ এশা তার দ্বিতীয় নামাজে জানাজা শেষে তাকে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে।
উল্লেখ্য, মৃত্যুর আগে পর্যন্ত তিনি পপুলেশন সার্ভিসেস অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টারের (পিএসটিসি) উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৬৮ সালের জানুয়ারি মাসে পাকিস্তান সরকার ১৯৬৮ সালের আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ মুজিবুর রহমানকে প্রধান আসামি করে সেনাবাহিনীর কয়েকজন কর্মরত ও প্রাক্তন সদস্য এবং ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তাসহ মোট ৩৫ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়। এ মামলাটি আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা নামে পরিচিত।
মামলার আসামিরা হলেন- শেখ মুজিবুর রহমান; আহমেদ ফজলুর রহমান, সিএসপি; কমান্ডার মোয়াজ্জেম হোসেন; স্টুয়ার্ড মুজিবুর রহমান; সাবেক এলএস সুলতানউদ্দীন আহমদ; এলএসসিডিআই নূর মোহাম্মদ; ফ্লাইট সার্জেন্ট মাহফিজ উল্লাহ; কর্পোরাল আবদুস সামাদ; সাবেক হাবিল দলিল উদ্দিন; রুহুল কুদ্দুস, সিএসপি; ফ্লাইট সার্জেন্ট মো. ফজলুল হক; বিভূতি ভূষণ চৌধুরী (ওরফে মানিক চৌধুরী); বিধান কৃষ্ণ সেন; সুবেদার আবদুর রাজ্জাক; সাবেক কেরানী মুজিবুর রহমান; সাবেক ফ্লাইট সার্জেন্ট মো. আব্দুর রাজ্জাক; সার্জেন্ট জহুরুল হক; এবি খুরশীদ; খান মোহাম্মদ শামসুর রহমান, সিএসপি; একেএম শামসুল হক; হাবিলদার আজিজুল হক; মাহফুজুল বারী; সার্জেন্ট শামসুল হক; শামসুল আলম; ক্যাপ্টেন মো. আব্দুল মোতালেব; ক্যাপ্টেন এ শওকত আলী; ক্যাপ্টেন খোন্দকার নাজমুল হুদা; ক্যাপ্টেন এএনএম নূরুজ্জামান; সার্জেন্ট আবদুল জলিল; মাহবুবু উদ্দীন চৌধুরী; লে. এম রহমান; সাবেক সুবেদার তাজুল ইসলাম; আলী রেজা; ক্যাপ্টেন খুরশীদ উদ্দীন এবং ল্যা. আবদুর রউফ।
পরে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের তীব্র আন্দোলনের মুখে সরকার মামলাটি প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়।
মন্তব্য চালু নেই