আকাশ থেকে নেমে আসছে কাটা হাত-পায়ের বৃষ্টি! সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরছে পুরনো আতঙ্ক

সৌদি আরবের জেড্ডা শহরে বছর তিনেক আগে ঘটে গিয়েছিল এমনই এক ভয়াবহ ঘটনা। বর্তমানে সেই পুরনো ঘটনারই ছবি ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেই সঙ্গে শেয়ার হয়ে চলেছে এক আজগুবি খবরও।

এ যেন হরর ফিল্ম থেকে উঠে আসা কোনও দৃশ্য। কিংবা ভয়াবহতায় এই দৃশ্য অতিক্রম করে যেতে পারে হরর ফিল্মকেও। রাস্তায় বেরিয়ে মানুষ দেখছেন, আকাশ থেকে জল নয়, বৃষ্টির মতো ঝরে পড়ছে মানবদেহের কাটা অংশ। কখনও আকাশ থেকে নেমে আসছে কাটা রক্তমাখা হাত, কখনও বা একটি আস্ত পা কিংবা গোড়ালি। আতঙ্কে দিশাহারা হয়ে মানুষ ছোটাছুটি করছেন চতুর্দিকে। কেউ ভাবছেন, এ কোনও অলৌকিক শয়তানের অভিশাপ; কেউ বা একে সৃষ্টি ধ্বংসের ইঙ্গিত ভেবে নিয়ে আতঙ্কিত হয়ে ইশ্বরের কাছে প্রার্থনা করছেন। সৌদি আরবের জেড্ডা শহরে বছর তিনেক আগে ঘটে গিয়েছিল এমনই এক ভয়াবহ ঘটনা। বর্তমানে সেই পুরনো ঘটনারই ছবি ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেই সঙ্গে শেয়ার হয়ে চলেছে এক আজগুবি খবরও। দাবি করা হচ্ছে, পৃথিবীর ধ্বংস যে আসন্ন তারই ইঙ্গিত হিসেবে বিভিন্ন দেশে আকাশ থেকে নেমে আসছে এমন কাটা হাত-পা।

২০১৪ সালের গোড়ার দিকে বিভিন্ন আরবি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ পায় এই ঘটনা সংক্রান্ত সংবাদ। বলা হয়, জেড্ডা শহরের মুশরেফা এলাকায় এ ভাবে আকাশ থেকে কাটা হাত-পা নেমে আসার ঘটনা ঘটেছে। সেই সঙ্গে এ-ও জানানো হয় যে, আদপে বিমানভাড়া বাঁচানোর তাগিদে অনেক দরিদ্র মানুষই মধ্যপ্রাচ্যে প্লেনের চাকার কাছে বসে যাতায়াত করেন। ৩১৫ জন যাত্রীকে নিয়ে তেমনই একটি প্লেন উড়ে আসছিল ইরানের মাসশাদ শহর থেকে। কিছু যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে ৭৬৭-৩০০ইআর নামের সেই প্লেনটি মদিনায় ইমারজেন্সি ল্যান্ডিং করতে বাধ্য হয়। সেই সময়েই প্লেনের চাকার চাপে আহত হন প্লেনের হুইল বে-তে বসে থাকা যাত্রীরা। বহু যাত্রীরই হাত-পা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে নীচে খসে পড়ে। সেই কাটা হাত-পা-ই জেড্ডার মুশরেফার আকাশ থেকে নেমে আসতে দেখা যায়। খবরে প্রকাশ পায়, মোট ২৯ জন যাত্রী আহত হন এই দুর্ঘটনায়।

বর্তমানে সেই ঘটনারই ছবি এবং আংশিক তথ্য নিয়ে একটি ফেসবুক পোস্ট বানানো হয়েছে। তাতে বলা হচ্ছে, আকাশ থেকে এ ভাবে মানুষের দেহাংশ নেমে আসা আসলে সৃষ্টি ধ্বংসের পূর্বাভাস। এই পোস্ট দেখে মানুষ বিভ্রান্ত হচ্ছেন। ভয়ার্তও বোধ করছেন অনেকে। ছবির নেপথ্যের প্রকৃত ঘটনা না জেনেই আতঙ্কিত হচ্ছেন মানুষজন।



মন্তব্য চালু নেই