আওয়ামীপন্থিদের পরাজয়ের কারণ

সুপ্রিমকোর্টে আগাম জামিন বন্ধ করে দেয়া, দেশের বিরাজমান পরিস্থিতি ও অন্যায় দুর্নীতির অভিযোগ থাকায় সুপ্রিমকোর্ট বার নির্বাচনে আওয়ামীপন্থি আইনজীবীদের পতন হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন এবারের নির্বাচনের সভাপতি পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী আকন্দ।

মঙ্গলবার সকালে সুপ্রিমকোর্ট বারের নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর ল’ রিপোর্টার্স ফেরামের কার্যালয়ে তিনি সাংবাদিকদের কাছে এমন মন্তব্য করেন।

ইউনুছ আলী আকন্দ বলেন, ‘এবারের নির্বাচনে দুই দলের আইনজীবীরাই নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘন করেছে। তারা দুর্নীতির টাকা খরচ করে নির্বাচন করেছে। নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘন করে তারা ভোটারদের কাছে খাবারের প্যাকেট দিয়ে, টাকা দিয়ে ভোট দিতে প্রভাবিত করেছে।’

তিনি বলেন, ‘নির্বাচনী আচরণ বিধিতে উল্লেখ আছে যে, আইনজীবীরা কোনো দলের হয়ে কোনো প্যানেলের হয়ে সুপ্রিমকোর্ট বারের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। কোনো প্যান্ডেল তৈরি করে তারা নির্বাচনী কাজ করতে পারবেন না। নির্বাচনের দিন কোনো বিশেষ দলের হয়ে ক্যাপ ব্যাবহার করতে পারবেন না। কিন্তু এবারের নির্বাচনে তারা নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘন করে এসব কাজ করেছেন।’

তিনি আরো বলেন, ‘দুই দলের দুর্নীতির কাছে আমি পরাজিত হয়েছি।’

জ্যেষ্ঠ এ আইনজীবী বলেন, ‘বিএনপি-আওয়ামী লীগ উভয় দুর্নীতির সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তারা তাদের দুর্নীতির টাকা খরচ করে নির্বাচন করেছে।’

তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘তারা খালেদা জিয়া ও শেখ হাসিনার প্রতিনিধি, সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবীদের প্রতিনিধি নয়। তাদের বাদ দিয়ে আমাকে সভাপতি পদে নির্বাচিত করার জন্য আমি ইতোমধ্যে হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করেছি।’

তিনি বলেন, ‘আমি প্রতিবছরই সভাপতি পদে নির্বাচন করে যাবো। আমাকে আইনজীবীরা অবশ্যই একবার সভাপতি পদে নির্বাচিত করবেন।’

শুধু সুপ্রিমকোর্ট বারের সভাপতি পদে নির্বাচনই নয় দেশের বিরাজমান পরিস্থিতি নিয়ে এ আইনজীবী সুপ্রিমকোর্টে বিভিন্ন রিট ফাইল করে আলোচনায় এসেছেন। আবার বিভিন্ন ইস্যুতে তিনি রিট ফাইল করে পরে শুনানি করেন না বলেও তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে।

আলোচিত হ্যাপীর ঘটনাকে কেন্দ্র করেও তিনি হাইকোর্টে একটি রিট করেছিলেন। কিন্তু সে রিটের শুনানিতে তিনি না থাকায় সে আবেদনটি খারিজ করে দেন আদালত। তবে এগুলো কি শুধু মিডিয়ায় নাম প্রচারের জন্য করা হয়? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘নাম প্রচার নয়, আমি জনস্বার্থে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন মামলা করে থাকি।’



মন্তব্য চালু নেই