আই লাভ ইউর উত্তরটা দিয়ে যান প্লিজ…

ধরুন আপনি ভার্সিটি এডমিশন দিবেন।হটাৎ বিবিএ পডুয়া কোন এক আপু অল্পদিনের পরিচয়ে আপনাকে আই লাভ ইঊ বলে দিল..আপনি কি জবাব দিবেন???

যাকে যত বেশি জানি, আমরা তাকেই তত বেশি ভালবাসি। মানুষের সবচেয়ে কাছের মানুষটি হলো সে নিজে। নিজেকেই তো সে ভালবাসবে। এটা স্বভাবিক। কিন্তু যখন মানুষ অন্যকেও ভালবাসতে শুরু করে, তখনই তার মানুষ হয়ে উঠা। আর মায়ের মত ভাল কে বাসতে পারে দুনিয়ায়?

ভালোবাসা জিনিসটা আসলে ঠিক এমনই হয়। এটার প্রকাশ আপনা আপনিই হয়। কেউ আপনাকে প্রতিদিন ২৪ ঘন্টায় ৪৮ বার ফোন দিয়ে বলছে ‘খাইসো?’ ঘুমাইসো’ ‘লাভিউ’ ‘লাভিউ’ ‘লাভিউ’… প্রতি সপ্তাহে নতুন নতুন গিফট করছে, ঘুরতে নিয়ে যাচ্ছে…… এর মানেই এই না যে, সে আপনাকে সত্যিই ভালোবাসে। যে আপনাকে সত্যিকারের ভালোবাসে, তার গলা ফাটিয়ে চিৎকার করে বলার দরকার নেই। তার চোখ বলবে ভালোবাসি, তার হাসি বলবে ভালোবাসি, তার নীরবতা বলবে ভালোবাসি।

প্রতিদিন হাজার হাজার রিলেশন ব্রেকাপ হচ্ছে শুধুমাত্র সন্দেহের কারণে, হাজার হাজার রিলেশন গড়িয়ে যাচ্ছে মনের ভেতর সন্দেহ চেপে রেখে। ‘সন্দেহ’ আর ‘সুখ’ এই দুইটা একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। যেখানে সন্দেহ থাকে, সেখানে কোনদিন সুখ থাকে না। জীবনে কোনদিনই সুখি হতে পারবেন না, যদি রিলেশনে সঙ্গী হিসেবে ভুল মানুষটিকে নির্বাচন করেন। আর বেশিরভাগ মানুষ প্রথমেই এই ভুলটি করে, সঙ্গী নির্বাচনে প্রায়োরিটি দেয়, কে কতটা স্মার্টলি তাকে প্রপোজ করছে। বিষয়টা খুব সিম্পল… যে আপনাকে প্রথমবার ‘ভালোবাসি’ বলতে গিয়ে একবারও তার গলা কাঁপবে না, সে আরো বহুবার ‘ভালোবাসি’ বলে অভ্যস্ত। যে আজ আপনার সামনে এসে খুব স্মার্টলি বলছে ‘ভালোবাসি’, সে কিছুদিন পর আরেকজনের কাছে গিয়ে আরো বেশি স্মার্টলি বলবে ‘ভালোবাসি’। তবুও আমরা স্মার্টনেসটাকেই প্রাধান্য দেই।

অথচ, সেই মানুষটি অবহেলায় পড়ে থাকে, যে আপনার সামনে আসলে হার্টবিট বেড়ে যায়, বহুদিনের গোছানো শব্দগুলো এলোমেলো করে ফেলে, না বলা সব কথাগুলো গলার ভেতর আটকে যায়। তার ভালোবাসাগুলো সরাক্ষণই তার মনের আনাচে-কানাচে শুধু ছটফট করে আর নিঃশব্দে বলে- ‘ভালোবাসি… ভালোবাসি… ভালোবাসি…’।



মন্তব্য চালু নেই