‘আইন মেনেই বরখাস্ত ৩ মেয়র’
রাজশাহী ও সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়রকে রাজনৈতিক বিবেচনায় নয়, আইন অনুযায়ীই বরখাস্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী (এলজিআরডি) ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
এই দুই মেয়র রোববার দায়িত্ব নিয়ে চেয়ারে বসার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ফের বরখাস্ত হন। পাশাপাশি হবিগঞ্জের পৌর মেয়র জি কে গউছকেও একইভাবেই বরখাস্ত করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেন মন্ত্রী।
তিন মেয়রকে বরখাস্তের পর রোববার বিকেলে এলজিআরডিমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘তাদের বরখাস্তের বিষয়ে বেআইনি কিছু করা হয়নি। সম্পূর্ণরূপে আইন মেনেই তাঁদের বরখাস্ত করা হয়েছে।’
তিন মেয়র বিএনপির নেতা হওয়ায় কারণেই আবার বরখাস্ত করা হলো কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘এখানে রাজনৈতিক বিষয়টি বিবেচনায় আনা হয়নি। সরকার আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আইন অনুযায়ী আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
‘এই তিনজনের বিরুদ্ধেই মামলা রয়েছে। মামলায় তাদের বিরুদ্ধে এরই মধ্যে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে। আদালত অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছেন। এই অবস্থায় বিদ্যমান আইন অনুযায়ী তারা মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালনের উপযুক্ত নন। কাজেই আমরা আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিয়েছি’ যোগ করেন মন্ত্রী।
দীর্ঘ কারাবাসের পর আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন আরিফুল হক চৌধুরী। এরপর দুপুর ২টায় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় থেকে ফ্যাক্সে পাঠানো চিঠির মাধ্যমে আরিফুলকে সাময়িক বহিষ্কারের বার্তা জানানো হয়।
এর প্রতিক্রিয়ায় আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, ভোটকে তোয়াক্কা না করে রাজনৈতিকভাবে সরকার মানুষকে তাচ্ছিল্য করেছে।
অপরদিকে আজ উচ্চ আদালতের রায় নিয়ে দায়িত্ব পালনের জন্য দুপুরে নগর ভবনে যান রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল। তিনি চেয়ারে বসার কিছুক্ষণ পরেই বরখাস্তের চিঠি পৌঁছে নগর ভবনে। বুলবুল একে ‘অবৈধ ও ষড়যন্ত্র’ বলে অভিহিত করেন।
আর বিএনপি নেতা জি কে গউছ সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া হত্যা মামলায় কারাগারে বন্দি থাকা অবস্থায় হবিগঞ্জের মেয়র নির্বাচিত হন। গত ৪ জানুয়ারি ৭৩৯ দিন কারাভোগের পর জামিনে মুক্তি পান গউছ। ২৩ জানুয়ারি মেয়র জি কে গউছকে সাময়িক বরখাস্ত আদেশ স্থগিত করেন হাইকোর্ট। এরপর গত ২৩ মার্চ থেকে দায়িত্ব পালন করছিলেন তিনি।
মন্তব্য চালু নেই