আইন ভাঙলেই জরিমানা!
রাস্তা পারাপারে জনসচেতনতা সৃষ্টির জন্য একটি ব্যতিক্রমী উদ্যোগ হাত নিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। ডিএমপির নতুন আইন অনুসারে, যেসব রাস্তায় ফুটওভারব্রিজ বা আন্ডারপাস আছে, সেসব রাস্তায় জনগণ পারাপার হতে পারবেন না। তবে সিগন্যালের সময় ট্রাফিকের অনুমতি নিয়ে রাস্তা পার হওয়া যাবে।
মঙ্গলবার রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ঢাকা মহানগর পুলিশের উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। এ জন্য ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, বাংলামোটর, রূপসী বাংলা হোটেল- এসব স্থানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে। যেসব পথচারী সিগন্যাল অমান্য করে পার হতে চাইছেন, তাদের আটক করছে পুলিশ। জরিমানা আদায় করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার সকাল থেকেই রাজধানীর রূপসী বাংলা হোটেল থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত দুটি জায়গায় দুজন ম্যাজিস্ট্রেট ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। যত্রতত্র রাস্তা পারাপারে বিভিন্ন দুর্ঘটনা এড়াতে ফুটওভারব্রিজ বা আন্ডারপাস ব্যবহার না করার কারণে ভ্রাম্যমাণ আদালত জরিমানা করছেন।
সকাল থেকে এ পর্যন্ত বাংলামোটরে ৭৩ জনকে জরিমানা করা হয়েছে বলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জানিয়েছেন। এ ছাড়া সোনারগাঁও মোড়েও ৬০ জনকে জরিমানা করা হয়েছে বলে ডিএমপির অপর একটি সূত্রে জানা গেছে।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের এক ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, ‘ফুটওভারব্রিজ বা আন্ডারপাস ব্যবহার না করে যত্রতত্র রাস্তা পারাপার অপরাধ। আর এ অবৈধভাবে যারা রাস্তা পার হচ্ছেন তাদের আইনের আওতায় এনে সাজা দেওয়া হচ্ছে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের ২৯০ ধারা অনুযায়ী এ অপরাধীদের আর্থিক জরিমানা করা হচ্ছে। জরিমানার পরিমাণ ধরা হয়েছে সর্বোচ্চ ২০০ টাকা। তবে আজ অনেকের কাছে জরিমানার টাকা না থাকায় সর্বনিম্ন ২০ টাকাও জরিমানা আদায় করা হচ্ছে।’
এ ছাড়া ভ্রাম্যমাণ আদালতের ২৯০ ধারায় যদি কেউ অর্থদণ্ড দিতে ব্যর্থ হন তবে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অন্য একটি ধারা ২৯১ অনুযায়ী তার ৬ মাসের জেলের একটি বিধান রয়েছে। তবে এ বিধানে এখন পর্যন্ত কাউকে এ সাজা দেওয়া হয়নি বলে জানান ম্যাজিস্ট্রেট। কিন্তু কেউ জরিমানা দিতে ব্যর্থ হলে তাকে ছয় ঘণ্টা এখানে বসিয়ে রাখা হচ্ছে।
মন্তব্য চালু নেই