আইন না মেনেই নিচ্ছে বাড়ি ভাড়া

বাড়ী ভাড়া নিয়ন্ত্রণের জন্য অধিকতর সুষ্ঠু বিধান প্রণয়নের উদ্দেশ্যে প্রণীত আইন (২) ধারা ২৩, ২৪, ২৫, ২৬ এবং ২৭ দোসরা জানুয়ারী, ১৯৯১ ইং তারিখে কার্যকর হয়েছে। কিন্তু কতজন মালিকের পক্ষে এই আইন মেনে চলার বিধান রাখছেন । বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা থাকার সত্যেও ভাড়াটিয়া কোনো সুযোগই যেন পাচ্ছে না বাড়ির মালিকদের কাছ থেকে, ভাড়া নেয়া হচ্ছে বাড়ির মালিকদের খেয়াল খুশি মতো।

ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যানরাইটস এন্ড ক্রাইম রিপোর্টার্স সোসাইটির চেয়ারম্যান মোঃ আশরাফুল আলম (সাগর) বলেন,বাড়িওয়ালাদের অতিরিক্ত বাড়ি ভাড়া আদায়ে মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দেশের সকল বাড়িওয়ালাদেরকে তিনি ভাড়াটিয়াদের প্রতি সহনীয় পর্যায়ে ভাড়া আদায় করার আহবান জানান ।

তিনি বলেন আমাদের মৌলিক অধিকার গুলোর মধ্যে বাসস্থান একটি গুরুত্বপূর্ণ অধিকার ।কিন্তু কিছু ব্যক্তি এই অধিকারটা নিয়ে এমন ভাবে ব্যবসা শুরু করেছে যেখানে পরিবার সহ একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করায় দুরুহু হয়ে পরেছে।

তিনি আরো বলেন, নাগরিকদের জীবনধারণে অন্যান্য মৌলিক উপকরণের মতো আবাসন ব্যবস্থার মাধ্যমে জনগণের জীবনযাত্রার মান উন্নত করা রাষ্ট্রের অন্যতম দায়িত্ব। যে কারণে আবাসন ব্যবস্থাকে একটি অনিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থায় ছেড়ে না দিয়ে রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণমূলক আইনি ব্যবস্থায় নেয়া প্রয়োজন।

বাড়ি ভাড়া নিয়ে বাড়িওয়ালাদের স্বেচ্ছাচারিতা মূলত ঢাকায় বেশি। ঢাকায় বাড়িওয়ালাদের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়, ভাড়ার রশিদ না দেয়া, ইচ্ছেমতো ভাড়া বৃদ্ধি, জোর করে ভাড়াটিয়া উচ্ছেদসহ নানা ধরনের অভিযোগ রয়েছে।

আশরাফুল আলম বলেন, অগ্রিম ভাড়া, বাড়ির রক্ষণাবেক্ষণ কাজের খরচ, ইউটিলিটি বিল নেয়ার ক্ষেত্রেও আইন-কানুনের তোয়াক্কা করছেন না বাড়ির মালিকরা। ভাড়াটিয়া যদি নিয়মিতভাবে ভাড়া পরিশোধ করতে থাকেন এবং বাড়ি ভাড়ার শর্ত মেনে চলেন তাহলে যতদিন ভাড়াটিয়া চাইবেন ততদিন থাকবেন, তাকে উচ্ছেদ করা যাবে না। এমনকি বাড়ির মালিক পরিবর্তিত হলেও ভাড়াটিয়া যদি আইনসম্মত ভাড়া প্রদানে রাজি থাকেন, তবে তাকে বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করা যাবে না। আইন অনুযায়ী, ভাড়ার আগে দু’পক্ষের মধ্যে লিখিত চুক্তি থাকতে হবে।

বাড়িভাড়া এখন লাভজনক বড় ব্যবসায় পরিণত হয়েছে। ভাড়া নেয়া হচ্ছে বাড়ির মালিকদের খেয়াল খুশি মতো। ভাড়াটিয়াদের আয়ের বড় অংশটি চলে যাচ্ছে বাড়িভাড়ায়। ভাড়ার রসিদ ও বাড়ি ছাড়ার জন্য নোটিশের কথা বলা হয়েছে আইনে।কিন্তু কোনো প্রকার আইন মানছেন না বাড়ির মালিকরা ।



মন্তব্য চালু নেই