আইনের ধাপ অনুসারে গুলি করা হয়

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেছেন, ‘জনসাধারণের জানমালের হুমকি দেখা দিলে আইনের ধাপ অনুসারে গুলি করা হয়। সেখানে মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রশ্নই ওঠে না।’
তিনি বলেন, ‘আমার সৈনিক আক্রন্ত হলেই কেবল তারা অস্ত্র ব্যবহার করে থাকেন। কারণ জনগণের জানমালের অধিকার রক্ষাই আমাদের কাজ।’
রোববার সকালে রংপুরে বিজিবির উত্তর-পশ্চিম রিজিয়ন হেড কোয়ার্টারের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি একথা বলেন।
বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, ‘দেশ অস্থিতিশীল পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে বেসামরিক বাহিনীকে সহায়তা করতে দেশের বিভিন্নস্থানে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। বিজিবিকে সাংবিধানিকভাবে পাঁচটি দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। সেগুলো হলো- সীমান্তপ্রহরী হিসেবে দেশকে রক্ষা করা, যুদ্ধুকালীন সময়ে সশস্ত্র বাহিনীকে সহায়তা করা, নারী ও শিশু পাচার রোধে কাজ করা, বেসামরিক প্রশাসনকে জরুরি প্রয়োজনে সহায়তা প্রদান এবং সরকার অর্পিত দায়িত্ব পালন।’
আজিজ আহমেদ আরও বলেন, ‘বর্তমানে অবরোধ-হরতালে বিজিবি যানবাহন ও মালামাল গন্তব্যস্থলে পৌঁছাতে বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা দিচ্ছে। কৃষকের জমিতে ব্যবহৃত সার ও ডিজেল জরুরি প্রয়োজনে দেশের বিভিন্ন এলাকায় যাতে পৌঁছাতে পারে সে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘কৃষক যাতে সার ও ডিজেলের জন্য হয়রানির শিকার না হয় সেজন্য বিজিবির সহায়তায় প্রতিটি স্থানে ট্রাকযোগে সার ও ডিজেল পাঠাতে সহায়তা করছে বিজিবি।’
বিজিবি প্রধান বলেন, ‘চলমান অবরোধ ও হরতালে প্রায় দেড় লক্ষাধিক যানবাহন হাইওয়ে দিয়ে পারাপারে সহায়তা দিয়েছে বিজিবি। শুধুমাত্র শনিবার রাতেই প্রায় ৪৮ হাজার যানবাহন পারাপারে সহায়তা দেয়া হয়েছে।’
সভায় সংবাদকর্মীদের এক প্রশ্নের জবাবে বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, ‘বাংলাদেশিরা অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম না করলে সীমান্ত হত্যা কমে যাবে। সীমান্তের হত্যা শূন্যের কোঠায় আনতে সবধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।’ ইতোমধ্যে হত্যাকাণ্ড অনেক কমে এসেছে বলেও দাবি করেন তিনি।
বিজিবি মহাপরিচালক রোববার সকালে রংপুর রিজিয়নের নবনির্মিত অফিসার্স কোয়ার্টার, রিজিয়ন কমান্ডার বাংলো, জেসিও মেস, এসএম ব্যারাক, সৈনিক পরিবারের বাসস্থান ও অফিস বিল্ডিংয়ের উদ্বোধন করেন।
এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন বিজিবি উত্তর-পশ্চিম রিজিয়ন কমান্ডার বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো. লতিফুল হায়দারসহ রংপুর ও অন্যান্য সেক্টর কমান্ডারগণ।
এর আগে শনিবার দুপুরে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় তিস্তা ব্যারেজ সংলগ্ন দুটি ব্যাটালিয়ন স্থাপনে প্রস্তাবিত জমি ও বিওপি পরিদর্শন এবং নবনির্মিত রিজিয়ন রেস্টহাউজ উদ্বোধন করেন বিজিবি প্রধান।



মন্তব্য চালু নেই