আইনমন্ত্রী বললেন ইউপি নির্বাচনে নিহত মাত্র ৮

সদ্য সমাপ্ত ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে শতাধিক ব্যক্তি নিহত হওয়ার গণমাধ্যমে এলেও আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক দাবি করেছেন ছয় ধাপের এই নির্বাচনে মাত্র ৮ জন নিহত হয়েছেন।

মন্ত্রী এমন দাবি করলেও গত ২২ মার্চ পিরোজপুরের মঠবাড়িয়াতে কেবল একটি সংঘর্ষেই নিহত হন ৫ জন। মঠবাড়িয়ায় ধানীসাফা ইউনিয়নের একটি কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সমর্থকদের সঙ্গে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে ওই সংঘর্ষ হয়। এছাড়া ৩১ মার্চ চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলার বাউরিয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ ও বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষে তিন জন নিহত হন। এরকম আরো সংঘর্ষের খবর গণমাধ্যমে রয়েছে।

রোববার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে সেলিম উদ্দিনের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ তথ্য জানান।

আনিসুল হক জানান, সদ্য সমাপ্ত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোট কেন্দ্রের বাইরে অস্বাভাবিক কোনো মৃত্যুর তথ্য নির্বাচন কমিশনে নেই। তবে নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকালে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ৬ জন সদস্য ও ২ জন সহকারী শিক্ষকসহ মোট ৮ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া ১ জন গ্রন্থাগারিক আহত হয়েছেন। নিহতদের পরিবারকে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেয়া হয়েছে। এছাড়া আহতদের ৪০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, ছয় ধাপে অনুষ্ঠিত এবারের ইউপি ভোটে নিহতের সংখ্যা শতাধিক বলে দাবি করেছে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)। যা অতীতের সব রেকর্ড ভেঙেছে বলে জানায় সুজন। এছাড়া গণম্যাধ্যমেও ব্যাপক সহিংসতার খবর প্রকাশিত হয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই